মুক্তিযুদ্ধের ৪৫ বছর পরও চুয়াডাঙ্গা জেলায় নেই কোনো স্মৃতিসৌধ

 

খাইরুজ্জামান সেতু: মুক্তিযুদ্ধের ৪৫ বছর পরও চুয়াডাঙ্গায় জেলায় নেই কোনো স্মৃতিসৌধ। ১৯৯৪ সালে জেলার শহীদ হাসান চত্বরে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হলেও অবৈধ স্থাপনা হিসেবে ২০০১ সালে তা ভেঙে ফেলা হয়। এতে হারিয়ে যেতে বসেছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের একটি অংশ। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণে দ্রুত স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবার ও এলাকবাসীর।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় চুয়াডাঙ্গার নিরীহ-নিরস্ত্র শিশু ও নারী পুরুষদের জেলার সদর হাসপতালের আবাসিক কোয়ার্টার নিয়ে নির্যাতন চালাতো হানাদার পাকিস্তানি সেনা ও তার দোসররা। তৎকালীন সময় ৭ ডিসেম্বর সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় অসংখ্য মরদেহ। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের চালানো লুটপাঠ অগ্নিসংযোগ বর্বর নির্যাতনের অসংখ্য এমন ইতিহাস রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। স্বাধীনতার দীর্ঘদিন পরে এসব স্থান ও স্মৃতি সংরক্ষণে আটকবরে আট শহীদ স্মৃতি কমপ্লেক্স ও আলমডাঙ্গায় বধ্যভূমি নির্মাণ ছাড়া তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অযত্ন ও অবহেলায় হারিয়ে যেতে বসেছে শহীদদের স্মৃতি। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংরক্ষণে মুক্তিযুদ্ধের সংবলিত স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে জেলাবাসী। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণসহ অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনে সরকার এগিয়ে আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন।

Leave a comment