জীবননগর ব্যুরো: জীবননগরে ব্যাংক কর্মকর্তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে অফিসে যাওয়ার পথে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত ব্যাংক কর্মকর্তা শরিফ উদ্দীনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টিএন্ডটিপাড়ার বাসিন্দা মৃত আফদার রহমানের ছেলে উপজেলার সোনালী ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার শরিফ উদ্দিনের (৫৮) কন্যা শারমিন আক্তারের সাথে ৯ বছর আগে উপজেলার দৌলতগঞ্জপাড়ার বাহার আলী ওরফে বাবু মিলেটারির ছেলে নাসিমের (৩৭) বিয়ে হয়। নাসিম ও শারমিন দম্পতির ঘরে দুটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু শারমিনের ব্যাংকার পিতা এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। এ অবস্থায় গত বছরে শারীরিক নির্যাতনের কারণে মেয়ে বাদি হয়ে তার স্বামী নাসিমের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ব্যাংকার শরিফ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, জামাতা নাসিম তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এই মামলা তুলে নিতে নানা চাপ সৃষ্টি করেন। এরই জের ধরে গতকাল বাইসাইকেলযোগে ব্যাংকে যাওয়ার পথে চ্যাংখালী সড়কে জামাতা নাসিম ও তার ভাতিজা মেষকাত হোসেন (২০) লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে থানার ডিউটি অফিসার এসআই মকবুল হোসেন বলেন, হামলার ঘটনায় জামাতা নাসিম ও তার ভাতিজা মেষকতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু তা মামলা আকারে এখনো পর্যন্ত রজু হয়নি।