শিক্ষার্থীর নিক্ষেপ করা বর্শা বিঁধলো ৫ম শ্রেণির ছাত্রের বুকে

 

কেএ মান্নান: পাশাপাশি দুটি বিদ্যালয়ের স্বল্প পরিসর আঙিনায় নিক্ষিপ্ত বর্শা ৫ম শ্রেণির ছাত্র সাদিবের বুকে বিঁধে গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার স্কুল চলাকালে বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শিশু শিক্ষার্থীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ছুটি দেয়া হয় দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার জামজামি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে মহল বিশেষের পশুহাট। আগামী ১৫ মার্চ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সামনে রেখে তাই ক্লাস চলাকালীন অনিয়মতান্ত্রিক এ প্রশিক্ষণে ঘটলো বিপত্তি। গতকাল প্রতিযোগিতার পূর্ব প্রস্তুতির বর্শা নিক্ষেপ প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে ঘোষবিলা গ্রামের ভ্যানচালক মন্টুর ছেলে ৮ম শ্রেণির ছাত্র রানা বর্শা নিক্ষেপ করে। তা পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা ৫ম শ্রেণির ছাত্র শিশু সাদিবের বুকে গিয়ে বিঁধে। সাদিব মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বর্শা টেনে বের করে বন্ধুরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। ভয়ে পালিয়ে যায় রানাসহ তার বন্ধুরা। সাদিবকে প্রথমে আলমডাঙ্গার একটি ক্লিনিকে ও পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

এ ব্যাপারে ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের ক্রীড়াশিক্ষক মহাম্মদ আলী  শিশু সাদিবকে চিকিৎসার জন্য সাথে গেছেন। আহত শিশু সাদিবের জ্ঞান ফেরেনি। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  সাদ আহমেদ ও সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান ডাবলুসহ শিক্ষকবৃন্দের অমনোযোগ ও অসচেতনতাকে দায়ী করেছেন অভিভাবকেরা।