২শ বোতল ফেনসিডিল গায়েব : অভিযোগের তীর দারোগা মনিরের দিকে

 

স্টাফ রিপোটার: দামুড়হুদার রঘুনাথপুরে সাড়ে ৫শ বোতল ফেনসিডিলসহ মাইক্রোবাস আটক করেছেন দামুড়হুদা থানার এসআই মনির শিকদার। ফেনসিডিল ভর্তি মাইক্রোবাস থানায় না নিয়ে রাখা হয় কোনো এক বাড়িতে। টানা ৬ ঘণ্টা দরকষাকষির পর দেড় লাখ টাকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে ফেনসিডিল ভর্তি মাইক্রোবাস।

মাইক্রোবাস থেকে গায়েব হয়েছে ২শ বোতল ফেনসিডিল। অভিযোগের তীর দারোগা মনির শিকদারের দিকে। তদন্তপূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার ভোরে দর্শনা থেকে নিজস্ব মাইক্রোবাসে অভিনব কৌশলে সেটিং করে সাড়ে ৫শ বোতল ফেনসিডিল নিয়ে চুয়াডাঙ্গার অভিমুখে যাচ্ছিলো দামুড়হুদার রং মিস্ত্রি অভিযুক্ত মাদককারবারী মিঠু ও মাইক্রোচালক চুয়াডাঙ্গার ডাবলু। গোপনে সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা থানার এসআই মনির শিকদার একাই মোটরসাইকেলযোগে অভিযান চালান লোকনাথপুরে। পুলিশ দেখে রঘুনাথপুরের পথে মাইক্রোবাস ঘুরিয়ে নেয় চালক। পুলিশ পিছু ধাওয়া করলে সুবুলপুর ব্রিজে মাইক্রোবাস থেকে লাপিয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পালিয়ে যায় চালক ডাবলু। পুলিশ ব্রিজের ওপর থেকে মাইক্রোবাস উদ্ধার করে সুবুলপুরের জনৈক ব্যক্তির বাড়িতে রাখে। ফেনসিডিলকারবারী মিঠুর সাথে শুরু হয় দরকষাকষি। দুপুর ১২টার দিকে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে মাইক্রোবাস ভর্তি ফেনসিডিল ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে দারোগা মনিরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, পরে অভিযুক্ত মাদককারবারী মিঠু সুবুলপুরের ওই বাড়ি থেকে মাইক্রোবাস ও ফেনসিডিল নিয়ে এলেও সেখান থেকে ২শ বোতল ফেনসিডিল গায়েব হয়ে যায়। প্রশ্ন উঠেছে ২শ বোতল ফেনসিডিল গেলো কার পেটে? পুলিশ নিলো নাকি দালালেরা? মাদকের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ যখন কঠোর অবস্থানে রয়েছেন, ঠিক তখনই পুলিশের কতিপয় অসাধু অফিসার এ ধরনের কর্মকাণ্ড অনেকটাই হতবাক করেছে সচেতন মহলকে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত দারোগা, দালাল ও মাদককারবারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।