বেগমপুরের ফুরশেদপুরে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক বালি উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। যান্ত্রিক মেশিন ব্যবহার করে বালি উত্তোলন করা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ। এ আইন সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে ইউনিয়নের ফুরশেদপুর গ্রামের ইছাহাক লিজকৃত পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন ভিড়িয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছে। এসব ভারি যান্ত্রিক মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন নিষিদ্ধ হলেও কোন নিয়মই মানতে চাইছে না ইছাহাকের মত বালি ব্যবসায়ীরা। যার ফলে আবাদি জমি ও পরিবেশ পড়ছে হুমকির মুখে।

গ্রামবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের নবীছদ্দিনের ছেলে ইছাহক ফুরশেদপুর গ্রামের খবির মেম্বারের পুকুর লিজ নিয়ে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করছে। অতিমাত্রায় বালি উত্তোলন করে গভীর গর্তের সৃষ্টি করা হয়েছে। আশেপাশের জমিতেও দেখা দিয়েছে ভাঙন। বালিমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এ সুস্পটভাবে উল্লেখ আছে আবাসিক এলাকা থেকে কমপক্ষে ১ কিলোমিটারের মধ্যে বালি উত্তোলন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। আইন থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। অন্যদিকে আইন আছে এর যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় একের পর এক বালি উত্তোলনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। বালি উত্তোলনকৃত পুকুরের আশপাশের জমিতে বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করা হয়েছে। আর চাষাবাদের জন্য জমিতে দিতে হয় সেচ। অতিমাত্রায় গর্তকরে বালি উত্তলন করা হলে সেচের পানি দূরত্ব নিচে নেমে যায়। অপর দিকে সেচের জন্য কৃষকের বসানো ডিপ টিউবয়েল গুলোতে ঠিকমত পানি ওঠে না। ফলে আবাদি জমিগুলো পড়েছে হুমকির মুখে। ইছা আইন কানুনকে তোয়াক্কা না করে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বালি উত্তোলন করছে। ফলে গ্রামবাসীর মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে ইছার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে বালি উত্তলনের অনুমতি নেয়া হয়েছে। অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে ব্যর্থ হন। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান বলেন, এ ধরনের কোনো অনুমতি কাউকে দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বালি উত্তোলন বন্ধের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে গ্রামবাসী।