নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আবারও জ্বলে উঠলেন তামিম ইকবাল। তার অপরাজিত ৮৩ রানের সুবাদেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে ডাচদের ১৫৪ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ভালোই জবাব দেয় নেদারল্যান্ডস। তাদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে জয়ের খুব কাছে গিয়েও শেষ হাসি হাসতে পারেনি ডাচরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান করতে সমর্থ হয় দলটি। ফলে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৮ রানের জয় পায় মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। দলীয় ২১ রানে আল-আমিনের বলে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ওয়েসলি বারেসি (৯)। দলীয় ৫৩ রানের মাথায় মাইবার্গকে (২৯) বোল্ড করেন নাসির হোসেন। দলীয় ৭৭ রানে সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে যান বেন কুপার (২০) বুধবার নয়নাভিরাম ধর্মশালার হিচমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় নেদারল্যান্ডস। তামিম ইকবালের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে প্রথম তিন ওভারে ১৮ রান তোলেন সৌম্য। তবে চতুর্থ ওভারে ফন মিকেরেনের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান এই বাঁহাতি (১৩ বলে ১৫)। সৌম্যর বিদায়ের পর তামিম ও সাব্বির রহমান মিলে স্কোরটা ৬০ পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন। সাব্বির ফন ডার মারউইয়ের বলে এগিয়ে এসে বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বল লেগে ঘুরাতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান (১৫ বলে ১৫)। এশিয়া কাপে রান-খরায় ভোগা সাকিব আল হাসান বিশ্বকাপের শুরুতেও ব্যর্থ। মাত্র ৫ রান করেই পিটার বোরেনের শর্ট বলে শর্ট থার্ডম্যানে মাইবার্গকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে এই বাঁহাতি। তামিমের ব্যাট হাসলেও এশিয়া কাপে দারুণ ব্যাটিং করা মাহমুদউল্লাহ ১০ রান করেই ফিরে যান। ব্যর্থতার গণ্ডি থেকে বের হতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। ২ বলে মোকাবেলা করে ডাক মারেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এরপর অধিনায়ক মাশরাফি এক ছক্কা মেরে বিদায় নিলেও শেষ ওভারে তামিম ও আরাফাত সানী একটি করে ছক্কা হাঁকিয়ে ১৫ রান তোলেন। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে বাংলাদেশ পায় ১৫৩ রানের লড়াইয়ের পুঁজি। মাত্র ৫৮ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৮৩ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন তামিম। আরাফাত ৪ বলে এক ছক্কায় ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।