ঝিনাইদহে ৭ দিন ধরে গৃহবধূকে পাশবিক নির্যাতন : পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে ৭ দিন ধরে স্বামী ও সতীনের পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে নুরুন্নাহার নামে এক গৃহবধূ। খবর পেয়ে পুলিশ বুধবার রাত ১টার দিকে তাকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে স্বামী শহিদুল ইসলাম ও সতীন রহিমা খাতুন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ১৪ বছর আগে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার হাজরা গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে শহিদুলের সাথে বিয়ে হয় চট্টগামের সাতকানিয়া উপজেলার বকরা আলী বিল গ্রামের ইউসুফ আলী মেয়ে নুরুন্নাহারের। বিয়ের পর ২টি সন্তানও জন্ম নেয় তাদের। ৭ বছর পরে শহিদুল ইসলাম আরও একটি বিয়ে করে। এরপর থেকেই নুরুন্নাহারকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলো স্বামী শহিদুল ও সতীন রহিমা খাতুন। গত ২০/২৫ দিন আগে পিতার বাড়ি যাওয়া কথা বলে 7 দিন আগে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকার একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে তাকে। এরপর থেকেই শুরু হয় নির্যাতন। গত ৭ দিন ধরে ঘরে আটকে রেখে লাঠি, হাতুড়ি ও রড দিয়ে চলে পাশবিক নির্যাতন। গতরাতে ওই গৃহবধূর আত্মচিৎকারে প্রতিবেশী টের পেয়ে পুলিশে খবর দিয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানান, গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।