টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাচ্ছে পাকিস্তান
মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে পাকিস্তান। পাকিস্তান সরকার ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে। পিসিবি সভাপতি শাহরিয়ার খান বলেছেন, বাড়তি নিরাপত্তার আশ্বাসের ভিত্তিতেই পাকিস্তান সরকার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে ভারতে যেতে অনুমতি দিয়েছে ক্রিকেট দলকে। এটা আমাদের সকলের জন্যই খুশির খবর। শাহরিয়ারই কদিন আগে বলেছিলেন, ভারতের মাটিতে নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে পাকিস্তান দলের। সাম্প্রতিককালের বেশ কয়েকটি ঘটনাও শাহরিয়ার খানের কথার যুক্তি তুলে ধরছিলো। কিছুদিন আগেই মুম্বাই ও পুনেতে বাতিল করতে হয়েছে গজল শিল্পী গুলাম আলীর কনসার্ট। পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুরশিদ কাসুরির একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানেও হাঙ্গামা কম হয়নি।
গত বছর ভারতের মাটিতে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড প্রধানদের সভায় যেভাবে রাজনৈতিক উগ্রবাদীরা ঢুকে পড়েছিলো, তা তো এক নজিরবিহীন ঘটনা হয়েই আছে। পাশাপাশি গত অক্টোবরে খোদ আইসিসিই দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারত সিরিজে দেশে ফেরত পাঠিয়েছিল পাকিস্তানি আম্পায়ার আলিম দারকে। সবকিছু মাথায় রেখে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ছিলো অনিশ্চয়তার মধ্যে। গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সরকারের সবুজ সংকেত স্বস্তি ফিরিয়েছে। আগামী ১৬ মার্চ কোলকাতার ইডেন গার্ডেনে পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে। প্রতিপক্ষ বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা একটি দল, যেটি বাংলাদেশ হতে পারে। ১৯ মার্চ ভারত-পাকিস্তান লড়াই।
মেসির টি-শার্ট পেল সেই আফগান শিশু
মাথাভাঙ্গা মনিটর: আফগান শিশু মুরতাজা আহমেদের নীল-সাদা পলিথিন ব্যাগ কেটে বানানো ‘মেসি’ লেখা শার্টের একটি ছবি সারা দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছিলো। আর এবার স্বয়ং মেসিরই জার্সি উপহার পেল মুরতাজা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মুরতাজাকে নিয়ে প্রতিবেদন করেছিলো মেসির সেরা ভক্ত হিসেবে। ৫ বছরের এ শিশু তখন সারাবিশ্বের নজরে আসে। চোখ এড়ায়নি লিওনেল মেসিরও। খবর জানতে পেরে শিশুর সাথে দেখা করারও ইচ্ছে প্রকাশ করেন মেসি। এর আগেই জানা যায়, তাকে মেসির ‘অফিসিয়াল’ শার্টও উপহার হিসেবে দেয়া হবে। মেসির ম্যানেজমেন্ট দল বৃহস্পতিবার মুরতাজার জার্সি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জার্সিটিতে মেসির স্বাক্ষরও ছিল। স্বাভাবিকভাবেই বেশ উচ্ছসিত মুরতাজা। সে জানায়, আমি মেসিকে ভালোবাসি, আর শার্টে লেখা মেসিও আমাকে ভালোবাসে।
ঠিক পথেই রয়েছে বাংলাদেশ: মাশরাফি
স্টাফ রিপোর্টার: ২০১৫ সালটি দুর্দান্ত কেটেছে বাংলাদেশের। বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের পর ঘরের মাঠে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়। কিন্তু ওয়ানডের দুর্দান্ত ফর্মের সেই দল যেন টি-টুয়েন্টিতে খুব একটা উজ্জ্বল নয়। তবে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার দাবি, ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এ সংস্করণেও উন্নতির সঠিক পথে আছে তার দল। গতকাল বৃহস্পতিবার টিম হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, টি-টোয়েন্টিতেও উন্নতি করছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, আমরা ঠিক পথেই আছি। টি-টোয়েন্টি এমন খেলা নয় যে প্রতিদিনই ভালো খেলা সম্ভব। আমরা উন্নতি করছি। এভাবে করতে থাকলে আমার বিশ্বাস, আমরা ভালো জায়গায় যেতে পারবো। রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। আগে আমরা চিন্তা করতাম যে, এ ফরম্যাটে ভালো খেলি না। এখন তো এ চিন্তাটা বদলেছে আমাদের!
এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করার আশা এখনও ছাড়ছেন না অধিনায়ক। তিনি বলেন, প্রথম ম্যাচে আমরা পারিনি তবে সামনে আরও অন্তত তিনটি ম্যাচ আছে। অবশ্যই একটি করে ম্যাচ ভাবতে হবে আমাদের। আমরা যে পরিকল্পনা নিয়ে খেলছি, যে মানসিকতা ছিলো, সেটা ধরে রাখতে পারলে আমরা ভালো কিছু করতে পারবো বলে আশা করি।
২০০৬ সালে অভিষেক টি-টেয়োন্টিতে বাংলাদেশের শুরুটা ছিলো জয় দিয়ে। ২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বাংলাদেশ পেরিয়েছিলো গ্রুপ পর্ব। কিন্তু তারপর থেকে আর টি-টোয়েন্টিতে উন্নতির ধারা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। বরং সময়ের সাথে টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশের জন্য ক্রমশ হয়ে উঠেছে ধাঁধা। ৫১টি ম্যাচ খেলে মোটে ১৫টি ম্যাচ জিততে পেরেছে বাংলদেশ। জিম্বাবুয়ে ছাড়া টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে হারাতে পেরেছে কেবল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানকে। গত মাসে দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও ২ ম্যাচ হেরে ড্র করেছে সিরিজ। হারের স্বাদ পেতে হয়েছে এমনকি নেদারল্যান্ডস, হংকংয়ের কাছেও। গত বুধবার এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচেও ভারতের কাছে পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ। তবে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের অতীতের সাথে এটিকে মেলাতে চান না অধিনায়ক।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সুনিকেতন পাঠশালার বার্ষিক ক্রীড়া ও মেধা বিকাশ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সুনিকেতন পাঠশালার বার্ষিক ক্রীড়া ও মেধা বিকাশ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বলিদাপাড়াস্থ বিদ্যালয় চত্বরে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম। নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও সুনিকেতন পাঠশালা পরিচালনা কমিটির সদস্য আলহাজ লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ রোকেয়া খাতুন, এএফ মহিলা কলেজের প্রভাষক সাইফুজ্জামান বাপ্পু, সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস রুপালী, আব্দুর রশিদ মৃধা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী, মেধাভিত্তিক শিক্ষার্থী ও যেমন খুশি তেমন সাজো বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি।
শ্রীলঙ্কার কষ্টার্জিত জয়
স্টাফ রিপোর্টার: এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৪ রানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তবে কাঙ্ক্ষিত এ জয় পেতে যথেষ্টই ঘাম ঝড়াতে হয়েছে লঙ্কানদের। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১২৯ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। শুরু থেকেই আমিরাতের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করতে থাকেন চান্ডিমাল ও দিলশান। উদ্বোধনী জুটিতে তারা ৬৪ রান করেন। ব্যক্তিগত ২৭ রানে দিলশান ফিরে গেলেও উইকেটে আকড়ে থাকেন চান্ডিমল। ৩৯ বলে অর্ধশতক পূরণ করার পর অবশ্য তিনি থাকতে পারেননি। আমজাদ জাভেদের বলে মোহাম্মদ সেহজাদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। অল্প রানের মধ্যেই বিদায় নেন স্রিওয়ার্দানা, শানাকা ও এঞ্জেলো ম্যাথিউস। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে এশিয়ার ক্রিকেটের পরাশক্তি দেশটি। ১০ রানের বেশি করতে পারেননি আর কোনো ব্যাটসম্যানই।
আমিরাতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন আমজাদ জাভেদ। এছাড়া মোহাম্মদ নাভিদ ও শাহজাদ পান দুটি করে উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় আমিরাত। জবাবে আরব আমিরাত দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মালিঙ্গার প্রথম বলেই রোহানের উইকেট হারায় কিছুটা চাপে পরে যায়। এরপরে কালিম ও শাহজাদকে হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পরে আরব আমিরাত। শেষ পর্যন্ত তারা ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান করতে সামর্থ হয়।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র প্রথম পর্বের ৫টি ম্যাচে জয়লাভ করে অপাজিত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নিজেদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ৯৯ রানে মুন্সিগঞ্জ সংহতি সংঘকে পরাজিত করে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নিশ্চিত করে। শেখ রাসেল টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ১৮০ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে দলনায়ক ইমরান ৩৮, রনি ৩৭ ও কাজী সুমন ৪ উইকেট দখল করে।
জবাবে মুন্সিগঞ্জ সংহতি সংঘ ৮০ রানে অলআউট হয়। গতকাল খেলার মাঠে উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেট উপকমিটির আহ্বায়ক শহিদুল কদর জোয়ার্দ্দার, মুন্সিগঞ্জ সংহতি সংঘের সাধারণ সম্পাদক পিন্টু কুমার আগরওয়ালা, শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের কোচ সাইফ রাসেল, ম্যানেজার ছোট রাসেল, চঞ্চল প্রমুখ। অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের সভাপতি দলের সকল ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। আজ একই মাঠে মুখোমুখি হবে ভাইয়া একাদশ ও উল্কা ক্রীড়াচক্র।