পিকনিকের বাসের চাকায় পিষ্ট করিমনচালক নিহত : আরোহীর পা বিছিন্ন

 

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগরে পিকনিকের বাসের ধাক্কায় করিমনচালক আব্দুল খালেক (৩২) নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন করিমনের যাত্রী শান্তনা খাতুন (২২)ও কলেজ ছাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (২০)। গতকাল বুধবার বেলা ১২টার দিকে কালীগঞ্জ-জীবননগর সড়কের হাসাদাহ জোড়া ব্রীজের নিকট এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত করিমনচালক আব্দুল খালেক উপজেলার বকুন্ডিয়া গ্রামের জয়নাল মন্ডলের ছেলে। আহত শান্তনা খাতুন নিহত করিমন চালক আব্দুল কালেকের চাচাতো বোন। তার শরীর থেকে ডান পা ঘটনাস্থলেই বিছিন্ন হয়ে যায়। তাকে যশোর আড়াইশ বেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। সাবিনা খাতুনও করিমন চালকের চাচাতো বোন। এরা সকলেই করিমন যোগে গহ্বেশপুরের এক ভণ্ড ওঝার কাছে ঘি পানি পড়া নিতে যায়। সেখান থেকে ঘি ও পানি পড়া নিয়ে ফেরার পথে হাসাদহ বাজারের জোড়ামাইল নামক স্থানে পিকনিকের বাসের ধাক্কায় আছড়ে পড়েন। করিমন চালকের মাজার ওপর দিয়ে চলে যায় বাসের একটি চাকা। আর শান্তনা খাতুনের পায়ের ওপর দিয়ে যায় বাস। করিমন চালক আব্দুল খালেকের মৃতদেহ গতকালই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। মৃতদেহ নেয়া হয়েছে নিজ গ্রাম বাকুণ্ডিয়া। গতরাতেই দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ভরতপুর গ্রামের একটি ক্লাব হতে পিকনিক পার্টি মায়ের দোয়া পরিবহনের যশোর-ব-০২-০০২৬ বাসযোগে মুজিবনগরে পিকনিকে যাচ্ছিলো। এসময় হাসাদাহ হতে করিমন নিয়ে বকুন্ডিয়ায় যাওয়ার পথে পিকনিকের বাসের সাথে করিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত গৃহবধূ শান্তনার একটি পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সে বকুন্ডিয়া গ্রামের ফারুক হোসেনের স্ত্রী। তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ঘাতক বাসটি আটক করেছে। নিহত করিমনচালক আব্দুল খালেক তিন ছেলের জনক। ছোট ছেলে নীরবের বয়স বর্তমানে দু মাস। করিমন চালক আব্দুল খালেকই ছিলো তার পরিবারের একমাত্র উপার্যনক্ষম পুরুষ। সে তার অসুস্থ মায়ের জন্য পানি পড়া আনতে গিয়ে প্রাণ হারালো। তার এ মর্মান্তিক মৃতুতে পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাসটি পুলিশ হেফাজতেই ছিলো।