বাংলাদেশি তরুণ বিজ্ঞানী সাইফ সালাউদ্দীনের সাফল্য

সাইফ সালাউদ্দিন নামে এক বাংলাদেশি তরুণ বিজ্ঞানী গবেষক মার্কিন প্রেসিডেন্টের সম্মানসূচক পুরস্কার পাচ্ছেন। তিনি কম্পিউটার বিজ্ঞানী হিসেবে খ্যাত ইউনিভার্সিটি অব কালিফোর্নিয়ার সহযোগী অধ্যাপক। ১৯৯৬ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এই পুরস্কার প্রবর্তন করেন। লো এনার্জি মাইক্রো প্রসেসর তৈরির কাজে বিশেষ অবদানের জন্য এ বছর সাইফ এই পদকে ভূষিত হতে যাচ্ছেন।

বিজ্ঞান বা যে কোনো মৌলিক গবেষণা তা যে দেশেই হোক না কেন বা যে দেশের মানুষই আবিষ্কার করুক না কেন তা মানবসম্পদ এবং মানুষের অবদান হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু সেক্ষেত্রে যখন এদেশের একজন মানুষ অবদান রাখেন তখন এদেশের প্রতিটি মানুষ নিজেকে গর্বিত মনে করে। সাইফ সালাউদ্দিনের মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির বিষয়টিও তাই। বিশেষ করে বাংলাদেশে বিজ্ঞানের মতো মৌলিক বিষয়ে গবেষণার জন্য যেহেতু তেমন কোনো সুযোগ নেই সেক্ষেত্রে বিদেশে সেই সুযোগ মেলা এবং তা সফলতার সাথে কাজে লাগানো এদেশের একজন মানুষের জন্য বড় অর্জন বলা যায়।
শুধু সালাউদ্দিনই নয়, বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা বহুদিন থেকেই বিশ্বের বহুদেশে বিভিন্ন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। কিন্তু এইসব অর্জনের সুবিধা আমরা সরাসরি ভোগ করতে পারি না। যারা তাদের গবেষণার সুযোগ করে দেয় তারাই প্রথমত এর সুযোগগুলো কাজে লাগায়। ক্ষেত্র বিশেষে আদৌ তার সুবিধা আমরা ভোগও করতে পারি না। কিন্তু আমরা নিজেরা যদি আমাদের মেধাবী সন্তানদের মৌলিক গবেষণায় কাজে লাগাতে পারতাম তা হলে তার অবিষ্কারের পুরো সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে পারতাম। কিন্তু তা আমরা এখনও করে উঠতে পারিনি। সে বিষয়ে আমাদের প্রচেষ্টার অভাব রয়েছে।

যদিও আমাদের দেশে সীমিত সামর্থ্য নিয়ে মেধাবীরা অনেক কিছু আবিষ্কার করেন। এসব আবিষ্কারের খুব কম অংশই শেষ পর্যন্ত কাজে আসে। মূল্যায়ন হয়। অধিকাংশই অবমূল্যায়নে হারিয়ে যায়। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের বা সমাজের পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে বিশ্বকে চমকে দেয়ার মতো আবিষ্কার আমাদের দিয়েও অসম্ভব নয়। বিজ্ঞানী জগদীশ বসু তারই জ্বলন্ত উদাহরণ। সাইফ সালাউদ্দিনের প্রাপ্তি অবশ্যই প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।