দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় বাল্যবিয়ে পড়ানোর অপরাধে কুতুব কাজির ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা গ্রামের আশকার আলীর নাবালিকা মেয়ে তানিয়া খাতুনের (১৫) সাথে একই উপজেলার সুবলপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে এনামুলের গত শুক্রবার দুপুরে বিয়ে হয়। বাল্যবিয়ে হচ্ছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাজ কুমার পাল ওই বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে ছুটে যান বিয়ে বাড়িতে। কিন্তু তার আগেই বিয়ে পড়ানো সম্পন্ন হয়ে যায়। ইউএনও’র উপস্থিতি টের পেয়ে কনে তানিয়া পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও রাস্তার মধ্য থেকে আটক করা হয় বর এনামুলকে। সেই সাথে আটক করা হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজি কুতুব উদ্দিনকে। বসানো হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাল্যবিয়ের সহযোগিতার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩৫৩ ধারায় কাজি কুতুব উদ্দিনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বাল্যবিয়ে পড়ানোর অপরাধে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে তাকে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। এ বিষয়ে কাজি কুতুব উদ্দিনকে কয়েক মাস আগেও একই অপরাধে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিলো বলে জানান ইউএনও। তিনি আরো জানান জেল থেকে বেরিয়ে সে আবারও বাল্যবিয়ে পড়ানো শুরু করেছে। তিনি জেলা রেজিস্ট্রারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আরো বলেন এতো খারাপ প্রকৃতির লোকের লাইসেন্স থাকা উচিত নয়।