ভণ্ডরা ছদ্মবেশে ভণ্ডামিতে ভক্তদের এমনভাবেই আকৃষ্ট করে যে, তাতে অন্ধবিশ্বাস জন্মে যায়। ফলে ভক্তিতে কমতি রাখে না। সুযোগ বুঝে ভণ্ড শুধু অর্থই হাতিয়ে নেয় না, ভক্তদের দিয়ে আস্তানার অর্থ আয়ের মান্নত বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটাতে থাকে। ভক্তদের ঘোর কাটার আগে তাদের দেখে ভিড়তে থাকে নতুন ভক্ত।
ওই সমাজে ভণ্ড পীরের সংখ্যা বেশি, সে সমাজে সচেতনতার আলোয় স্বল্পতা। অবশ্যই আমাদের সমাজে সচেতনতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। লেখাপড়া করে বড় বড় একাডেমিক সনদ থাকলেই তাকে যেমন পরিপূর্ণ সচেতন বলা যায় না, তেমনই কোনো পীরের আস্তানা বা দরগায় শাদা পোশাকের ভিড় দেখলেই কামেল পীর বলা যায় না। ধর্মীয় লেবাসে পীর সেজে অনেকেই এমনসব মতবাদ ছড়াচ্ছে, যা কখনো কখনো হাস্যকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যে ধর্মের পোশাকে পীর সাজা হচ্ছে, সেই ধর্মকেও কলুষিত করতে ছাড়ছে না এরা। ছবিসহ ছবির পাশে জুতো রেখে তাতে কদমবুচি কি ইসলাম সমর্থন করে? অথচ ….
অবশ্যই ভণ্ডামির দোকান বন্ধে সমাজে সচেতনতার আলো ছড়াতে হবে। এ দায়িত্ব সমাজের সচেতনদেরই ওপরই বর্তায়। সচেতনতার পোশাকে যারা ভণ্ডামিকে সমর্থন করেন তাদের ফেরানোর বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন। বিলম্ব মানে মনগড়া মতবাদ ছড়িয়ে, ফন্দি ফিকিরে স্বার্থ হাসিল করাদের সুযোগ করে দেয়া।