জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছাইকালে প্রতিপক্ষ গ্রুপ পরাজিত হয়ে হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাকির হোসেন ও মিজানুর রহমান নান্নুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া পণ্ড হয়ে যায়। সেই সাথে দেখা দিয়েছে চরম উত্তেজনা। গতকাল শনিবার বিকেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সীমান্ত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী বাছাই চূড়ান্ত করতে গতকাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভা গোয়ালপাড়া ইয়ার্ডে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অনুষ্ঠিত হয়। আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভা চলাকালে আকস্মিকভাবে সভাস্থলে জীবননগর থেকে আওয়ামী লীগের কয়েক নেতা সেখানে উপস্থিত হন। সভায় সীমান্ত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে ৫ জন তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরা হলেন সীমান্ত ইউপি প্যানেল মেয়র জাকির হোসেন, মিজানুর রহমান নান্নু, শফি উদ্দিন, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার ও ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লার পক্ষে তার ছেলে মোসাবুল হক মিল্টন। সভায় ৫ প্রার্থীকে সমন্বয় করে একজনের নাম প্রস্তাব করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ৫ প্রার্থীর মধ্যে জাকির হোসেনকে ৩ জন সমর্থন দিয়ে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেও আব্দুল মালেক মোল্লার পক্ষে তার ছেলে মিল্টন অনড় থাকেন। এ অবস্থায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়ে মিজানুর রহমান নান্নুকে মারপিট করে এবং অন্যদের ওপর হামলা করে। জাকির হোসেন পালিয়ে গোয়ালপাড়া বাজারে তার অফিসে এসে অবস্থান নিলে হামলাকারীরা সেখানেও হামলা চালায় এবং তাকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে আহত করে। এ সময় শফি উদ্দিন মসজিদে ঢুকলে তাকে ধরতে সেখানেও হামলাকারীরা ছুটে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার ফলে সীমান্ত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া পণ্ড হয়ে যায়। এ হামলার ঘটনায় উভয় গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।