ঝিনাইদহের বিষয়খালি বাজারের দু ব্যবসায়ী অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের বিষয়খালি বাজারের দু সার কীটনাশক ও বীজ ব্যবসায়ী বিভিন্ন সংস্থা এবং কোম্পানির অন্তঃত অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গোপানে বিদেশ পাড়ি জমিয়েছে। দীর্ঘ দিনেও দুজনের খোঁজ পাচ্ছেন না পাওনাদারগণ। এমনকি পরিবারের পক্ষ থেকেও তাদেরকে কোনো প্রকার আশ্বস্ত করা হচ্ছেনা। ফলে কোম্পানি ও কোম্পানির প্রতিনিধিগণ চরম বিপাকে পড়েছেন। অবশেষে কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে কোম্পানি পৃথকভাবে চেক জালিয়াতির মামলা দায়ের করেছে। ব্যবসায়ী ও কোম্পানির প্রতিনিধিদেরসূত্রে এ সকল তথ্য জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারের সামি ফার্টিলাইজারের মালিক প্রদীপ বাগদি স্থানীয় মহাজন, এনজিও থেকে নগদ টাকা এবং কোম্পানির নিকট থেকে পণ্য নিয়ে অন্তঃত ২৭-২৮ লাখ টাকা পরিশোধ না করে গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে হঠাত ভারতে পাড়ি জমান। সেখানে তার নিকটাত্মীয়ের ব্যবসা দেখভাল করছেন বলে জানা গেছে। প্রদীপের ব্যবহৃত মোবাইল ০১৮৬৫-০২৩৭৭২ নম্বরে যোগাযোগ করে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। প্রদীপ বিষয়খালি গ্রামের বাগদিপাড়ার গৌর বাগদির ছেলে। প্রদীপের পিতা জানান, ছেলের সাথে ব্যবসা করার সময় আমার সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি। এখন প্রদীপকে না পেয়ে অনেকেই বাড়িতে এসে খোঁজ নিচ্ছে। তিনি আরো জানান, আমার সাথে ছেলের দীর্ঘদিন কথা হয়নি। শুনছি প্রদীপ ঢাকায় কোম্পানিতে চাকরি করছে। আবার শুনছি ভারতে চলে গেছে। আর দেশে আসবে না।

বাজারের অপর ব্যবসায়ী লিখন এন্টারপ্রাইজের মালিক এনামূল হক লিখন একইভাবে ৩৮-৩৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ইটালি পাড়ি জমিয়েছেন। লিখন হরিপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে। লিখনের ব্যবহৃত মোবাইল ০১৭৭৬-৫৫১৮৯০ নম্বরে যোগাযোগ করে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে লিখনের পিতা একই রকম অভিযোগ করে জানান, ওই পক্ষের ছেলেরা এখন বড় হয়েছে আমার কোনো খোঁজখবর রাখে না। সংসারের সকলেই এখন আলাদা, প্রত্যেকেই নিজেদের মতো চলে। লোকমুখে শুনছি ব্যবসা ছেড়ে চলে গেছে। এখন ঢাকায় আছে নাকি ইটালি গেছে সঠিকভাবে বলতে পারবো না।