আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা উপজেলায় এবার গত কয়েক বছরের তুলনায় ৮-১০ গুণ বেশি টাকায় হাট-বাজার ইজারার দর উঠেছে। হাট ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো টেন্ডার ড্রপ করতে পারায় সর্বোচ্চ দর উঠেছে। ফলে সরকার কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব এবার বেশি পাচ্ছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার উপজেলার হাট-বাজার ইজারা দেয়ার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিলো হাটের টেন্ডার ড্রপিংয়ের দিন। সকাল থেকেই উপজেলা চত্বরে ৱ্যাব-পুলিশ অবস্থান নেয়। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা ট্রেন্ডার ড্রপ করেন। বেলা ৩টার দিকে টেন্ডার বাক্স খোলা হয়। টেন্ডারে জামজামি পশুহাট সর্বোচ্চ ৬৫ লাখ ৫২ হাজার টাকার দরদাতা পেয়েছে। ওই হাট গত বছর দর উঠেছিলো ৭ লাখ টাকা। আসমানখালী সাপ্তাহিক হাট এবার সর্বোচ্চ ২১ লাখ টাকা দর উঠেছে। গত বছর এ হাটের দর উঠেছিলো ৮ লাখ টাকা। হাটবোয়ালিয়া পশুহাট গত বছর দর ছিলো ২ লাখ টাকা। এবার দর উঠেছে ৪ লাখ টাকা। এভাবে প্রতিটি হাটবাজার গত বছরের তুলনায় ৮-১০ গুণ বেশি টাকায় বিক্রি হয়েছে। অনেকেই জানিয়েছেন নিকোজিশনের কারণে গত বছরগুলোতে হাট-বাজার সঠিক দরে বিক্রি হয়নি। এবার সব ধরনের হাটব্যবসায়ী স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ নিতে পারায় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাবে।