ফের স্নায়ুযুদ্ধে প্রবেশ করছে পৃথিবী : রুশ প্রধানমন্ত্রী

ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ইইউ
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সফররত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এক সদস্য। ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান রিচার্ড হোউয়িট বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে স্থগিত থাকা শান্তি প্রক্রিয়া যথেষ্ট গতি লাভ করবে। বাংলাদেশ ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন চিন্তারভাবনার ব্যাপারে আমরা খোলামেলা। নতুন নতুন ধারনা যে শুধু আমাদের দিক থেকেই আসতে হবে এমন কোনো প্রয়োজন নাই।
জিএসপি’র মতো বাণিজ্য সুবিধা হারানোর আশঙ্কা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যেহেতু বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে, তাই বাণিজ্য পরিচালনা সংক্রান্ত অবকাঠামোগুলোও হবে ভিন্ন। জিএসপি’র পরিবর্তে জিএসপি-প্লাস যা তুলনামূলকভাবে ভালো। কলকারখানায়, বিশেষত তৈরি পোশাক খাতে শ্রম মান এবং নিরাপত্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা অবশ্যই আমাদের ভোক্তা ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর কাছে গভীর উদ্বেগের বিষয়। পাশাপাশি, এই খাতে চলমান সংস্কার ও সাফল্য অন্যান্য উন্নয়নশীল বিশ্বে অন্যান্য বাণিজ্য চুক্তির জন্য অনুকরণীয় হতে পারে।

ফের স্নায়ুযুদ্ধে প্রবেশ করছে পৃথিবী : রুশ প্রধানমন্ত্রী
মাথাভাঙ্গা মনিটর: রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্বের সাম্প্রতিক টানাপোড়েন পৃথিবীকে নতুন স্নায়ুযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেনে বিদ্রোহীদের ও সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারকে সহায়তা করছে এক সময়ের পরাশক্তি রাশিয়া। জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনে মেদভেদেভ বলেন, বৈরি নীতি ছাড়া রাশিয়াকে দেয়ার মতো কিছুই নেই ন্যাটোর। আমরা এটা স্পষ্ট দেখতে পাই, স্নায়ুযুদ্ধের নতুন পর্বে প্রবেশ করেছি আমরা। প্রতিদিনই ন্যাটো, যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপ আমাদের বিরুদ্ধে নতুন নতুন অভিযোগ করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যকার টানাপোড়েন স্নায়ুযুদ্ধ হিসেবে পরিচিত। ১৯৪০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ১৯৮০’র দশকের শেষ পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ছিলো। স্নায়ুযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রধান মিত্র ছিলো যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, পশ্চিম জার্মানি, জাপান ও কানাডা। আর সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষে ছিলো পূর্ব ইউরোপের অনেক রাষ্ট্র, যেমন বুলগেরিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, পূর্ব জার্মানি ও রোমানিয়া।

ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের বিরুদ্ধে পাক প্রেসিডেন্ট
মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেইন ভ্যালেন্টাইন ডে পালন না করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পাকিস্তানের ডন পত্রিকা জানায়, ইসলামাবাদে এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এই আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, পাকিস্তানের সংস্কৃতির সাথে ভ্যালেন্টাইন ডের কোনো সম্পর্ক নেই। কাজেই এটিকে পরিহার করতে হবে। ল্লেখ্য, এর আগে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি জেলায় ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ উদযাপন নিষিদ্ধ করা হয়।
পেশাওয়ারের কাছে কোহাট জেলার কর্তৃপক্ষ পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে দোকানপাটে যেন ভ্যালেন্টাইন কার্ড এবং কোনো রোমান্টিক জিনিসপত্র বিক্রি করা না হয়, তা নিশ্চিত করতে। কেন তারা এই পদক্ষেপ নিলেন এর কোনো কারণ অবশ্য জেলা কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করে নি। ইসলামপন্থীরা কোহাট জেলার ক্ষমতায় আছে। এর আগে পাকিস্তানের ইসলামপন্থীরা ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল এই বলে যে, এটি পাকিস্তানি সংস্কৃতির পরিপন্থী।
পাকিস্তানেও সম্প্রতি ভ্যালেন্টাইন ডে পালন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ উপলক্ষে দোকানপাটে কার্ড, চকোলেট এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়।

জালে আটকে বিষধর সাপ মারল মাকড়সা? বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচাল
মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিষধর একটি বাদামি সাপকে জালে আটকে মেরেছে দীর্ঘপদী মাকড়সা। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে উইটহাল নামের একটি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কৃষক প্যাট্রিক লিস ঘটনার একটি ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করে দেয়ার পর থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে। বার্তা সংস্থা এএফপিকে প্যাট্রিক বলেন, লম্বা পা-বিশিষ্ট এই মাকড়সার জালে আটকানো সাপের ছবিটি তিনি গত শনিবার তুলেছিলেন। যখন তিনি ছবি তোলেন, তখন সাপটি মারা গিয়েছিলো। তবে মাসকড়া তার বিষ দিয়ে সাপটিকে মেরেছে কি-না, এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত নন। শুধু সাপটিকে মাকড়সার জালে আটকে থাকতে দেখেছেন তিনি। প্যাট্রিক বলেন, সাপ-মাকড়সার যুদ্ধে তিনি ব্যাঘাত ঘটাননি। কারণ মাকড়সার এই জয়কে অস্বীকার করা যায় না। অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়ামের গ্রাহাম মিলেজ বলেন, মাকড়সার পক্ষে সাপকে হত্যা করা সম্ভব, কিন্তু এর সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।