সু চিকে হত্যার হুমকি : নিরাপত্তা দেবে পুলিশ
মাথাভাঙ্গা মনিটর: মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেতা অং সান সু চিকে হত্যার হুমকি দেয়ার পর প্রথমবারের মতো তাকে নিরাপত্তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির পুলিশ। বিবিসি বলছে, দেশটির পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) নেতাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য একটি বিশেষ বাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি এনএলডি দেশটিতে সরকার গঠন করেছে। সাবেক সেনা শাসকের সময়ে সু চি দীর্ঘকাল গৃহবন্দি ছিলেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে রাজনৈতিক সংস্কার হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গেল নভেম্বরে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি বিশাল জয় অর্জন করে।
সু চিকে ফেইসবুক পোস্টে হত্যার হুমকি দেয়া ব্যক্তি পরবর্তী সময়ে ক্ষমা চাইলেও বিষয়টি হালকাভাবে নেয়া হচ্ছে না।
মিয়ানমার পুলিশের প্রধান আরো বলেন, ওই পোস্ট দেখার পর আমি স্থানীয় পুলিশ কার্যালয়কে সরাসরি তার (সু চি) নিরাপত্তা বিধানের নির্দেশ দিয়েছি। তার মতো একজন ব্যক্তির কিছু ঘটে যাক এমন কোনোকিছু আমরা হতে দিতে পারি না। নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীই এখনো পর্যন্ত সু চির নিরাপত্তা দায়িত্বে রয়েছে। সেই বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করে যাবে। পুলিশ ইউনিট সু চির বাড়ির বাইরে বাড়তি নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে
ভেনিজুয়েলায় জিকা ভাইরাসে তিন জনের মৃত্যু
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভেনিজুয়েলায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তৃতায় একথা বলেন তিনি। দেশটিতে মশাবাহিত এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এই প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলো। মাদুরো বলেন, দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে ৩১৯ জনের শরীরে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিন জন মারা গেছেন। ৬৪ রোগী জিকা সংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে ‘নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে’ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে দেশে এইসব রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের মতো প্রয়োজনীয় ওষুধ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো যখন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসটির বিস্তার রোধে প্রচেষ্টা জোরদার করছে ঠিক সেই মুহূর্তে মাদুরো এ ঘোষণা দিলেন। এই রোগের কারণে শিশুদের মস্তিষ্কে বড় ধরনের ক্ষতি হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্যাপকভাবে নবজাতক শিশুদের মাইক্রোসেফ্যালি বা অস্বাভাবিক ছোট মাথা ও মস্তিষ্ক নিয়ে জন্ম গ্রহণ করার জন্য এই ভাইরাসটিকে দায়ী করা হচ্ছে। গর্ভবতী মায়েরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাদের শিশুরা এই অস্বাভাবিকতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। ২৮ জানুয়ারি ভেনিজুয়েলার স্বাস্থ্যমন্ত্রী লুইসানা মেলো বলেন, ভেনিজুয়েলায় ৪ হাজার ৭০০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয় বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
৩৭ বছরের বাম বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে
মাথাভাঙ্গা মনিটর: রাজনীতিতে যে শেষ কথা বলে কিছু নেই তা যেন প্রমাণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিক আবদুর রেজ্জাক মোল্লা। ৩৭ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার সিপিএম থেকে নির্বাচিত বিধায়ক ছিলেন তিনি। গতকাল শুক্রবার সেই তিনি বাম রাজনীতিকে বিদায় জানিয়ে যোগ দিলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে। গতকাল দুপুরে কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় বর্ধিত সভায় আবদুর রেজ্জাক মোল্লা আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সভামঞ্চে রেজ্জাক মোল্লার হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলে যোগ দেয়ার পর রেজ্জাক মোল্লা বলেন, নিজের ইচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
রেজ্জাক মোল্লা ছিলেন একনিষ্ঠ কমিউনিস্ট। ১৯৭৭ সাল সেই বামফ্রন্টের আমল থেকে তিনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত একটানা ৩৭ বছর ছিলেন সিপিএমের বিধায়ক ছিলেন। জিতেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং পূর্ব আসন থেকে। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ভূমি ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী। সর্বশেষ ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি জয়ী হন ক্যানিং পূর্ব আসনে কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের প্রার্থীকে পরাজিত করে। এরপর থেকে দলের মধ্যে তাকে নিয়ে শুরু হয় মতবিভক্তি। এর জেরে ২০১৪ সালে রেজ্জাক মোল্লাকে দল বিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়। পরে তিনি নতুন দল ‘জাতীয় ন্যায় বিচার পাটি’ গঠন করেন। রেজ্জাক মোল্লাকে অবশ্য এবার আর ক্যানিং পূর্ব আসনে প্রার্থী করছে না তৃণমূল। তিনি নির্বাচন করবেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙর আসনে।
যুক্তরাজ্যে ঘরোয়া সহিংসতার শিকার ৪০ ভাগ পুরুষ
মাথাভাঙ্গা মনিটর: যুক্তরাজ্যে পারিবারিক সহিংসতার শিকার প্রতি ৫ জনের দুজনই পুরুষ বলে নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। যদিও সমাজে প্রচলিত ধারণা, পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয় মূলত নারীরা।
গার্ডিয়ান জানায়, যুক্তরাজ্যে পুরুষের অধিকার নিয়ে কাজ করা গ্রুপ প্যারিটি’র গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরুষরা তাদের সঙ্গীদের কাছে নির্যাতিত হয় এবং অধিকাংশ সময়ই পুলিশ বিষয়টি উপেক্ষা করে। ফলে বেশিভাগ সময় আক্রমণকারী মুক্ত অবস্থায় ঘুরে বেড়ায়। পারিবারিক সহিংসতার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে প্যারিটি জানায়, স্ত্রী বা মেয়েবন্ধুর কাছে পুরুষদের নির্যাতিত হওয়ার সংখ্যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে অনেক বেশি। সংগঠনটি তাদের প্রতিবেদনে দাবি করে, পারিবারিক সহিংসতার ঘটনাগুলোয় বেশিরভাগ সময় দেখা যায় পুরুষ নির্যাতনকারী এবং নারী নির্যাতনের শিকার। কিন্তু আমরা যে প্রমাণ পেয়েছি তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এটা বাস্তব চিত্র নয়।