গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কামারখালী গ্রামে মধ্য বয়সী গোলাম রসুলের লালসার শিকার এক বাক প্রতিবন্ধী এখন অন্তঃসত্ত্বা। গর্ভপাত ঘটনানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ গোলাম রসুল এখন হুমকি দিয়ে ধর্ষিতার পরিবারের মুখ বন্ধের অপচেষ্টা করছেন। তাইতো দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা আইনের আশ্রয় নিতেও ভয় পাচ্ছেন। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলেও গোলাম রসুল ও তার পরিবারের লোকজনের হুমকিতে ধর্ষিতার পাশে দাঁড়াতেও সাহস করছেন না গ্রামের কেউ।
অভিযোগে জানা গেছে, কামারখালী গ্রামের মৃত দিনমজুর কৃষকের কন্যা বাক প্রতিবন্ধী গোলাম রসুলের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতো। ওই বাক প্রতিবন্ধীর ওপর কুদৃষ্টি পড়ে গৃহকর্তার। বাড়িতে কাজ করার এক পর্যায়ে গোলাম রসুল কৌশলে তাকে মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণ করে বাকপ্রতিবন্ধীকে। বিষয়টি তখন চেপে থাকলেও সম্প্রতি ওই প্রতিবন্ধীর শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করে পরিবারের লোকজন বিষয়টি বুঝতে পারে। তখন ধর্ষণের বর্ণনা ও ধর্ষকের বিষয়টি পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে বোঝাতে সক্ষম হয় ওই বাকপ্রতিবন্ধী। গোলাম রসুলের বাড়িতে গিয়ে সে আঙ্গুল দিয়ে তাকে নির্দেশ করলে গ্রামেরও মানুষ বিশ্বাস করে।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে গোলাম রসুল ও তার পরিবারের সদস্যরা ভুক্তভোগী পরিবারকে বিভিন্নভাবে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা শুরু করে। গর্ভপাতেরও অপচেষ্টা চালায়। শেষ পর্যন্ত গ্রামের কিছু মানুষকে ম্যানেজ করে ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার পায়তারা শুরু করে। গতকাল শুক্রবার ধর্ষিতার পরিবারকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে বিষয়টি চেপে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ধর্ষিতা বাকপ্রতিবন্ধীর পরিবারের সদস্যদের মাঝে বিরাজ করছে ক্ষোভ ও হতাশা। কিন্তু প্রতিবাদ করতে পারছে না। আইনের আশ্রয়ও প্রাণভয়ে নিতে পারছেন না তারা। এখন বাকপ্রতিবন্ধী ও তার গর্ভের সন্তানের কী হবে তা ভেবে দিশেহারা অসহায় দরিদ্র পরিবারটি। তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন গোলাম রসুল।