দীর্ঘ দু বছর পার হতে চললেও শেষ হয়নি চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কাউন্সিল

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার কাউন্সিল আবারো পিছিয়েছে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলের দিনক্ষণ ঠিক করতে ঢাকা যাচ্ছে জেলা পর্যায়ের নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতাদের সাড়া না পাওয়ায় কাউন্সিল পিছিয়ে যাওয়ার কারণ বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। ফলে দীর্ঘ প্রায় দু বছর পার হতে চললেও  জেলা বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন হয়নি।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কাউন্সিলের বিগত দিনগুলো ছিলো ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর, ২০১৫ সালের ১৪ আগস্ট এবং চলতি মাসের ৫ ফেব্রুয়ারি।

কেন্দ্রীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি নেতা অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসকে  আহ্বায়ক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন। কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন, মাহমুদ হাসান খান বাবু, ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, আব্দুল জব্বার সোনা ও মুজিবুল হক মালিক মজু। এই কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে জেলার ৪ উপজেলা, ৪ পৌরসভা পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ে কমিটি গঠন সম্পন্ন করতে বলা হয়। সবকিছু ঠিকঠাক মতো চললেও জেলা কাউন্সিল না হওয়ায় তৃণমূল নেতারা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। ফলে চলমান রাজনীতি থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিএনপি।

জেলা কাউন্সিল সফল করতে গত শুক্রবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জেলার ৪ উপজেলা ও ৪ পৌরসভার নেতাদের সাথে বৈঠকে বসেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় জেলা বিএনপির কাউন্সিল সফলভাবে সম্পন্ন করতে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে দেখা করে দিন-তারিখ ঠিক করবেন। এ সময় চুয়াডাঙ্গা সদর বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এমএম শাহাহান মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক হাজি আব্দুল খালেক, চুয়াডাঙ্গা পৌর কমিটির সভাপতি মুন্সি আওরঙজেব বেল্টু, আলমডাঙ্গা উপজেলা কমিটির সভাপতি মজিবর রহমান ও পৌর কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির ও জীবননগর উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, জেলা বিএনপির কাউন্সিল করতে তিনদফা কেন্দ্রিয় নেতাদের কাছে অতিথি চেয়ে চিঠি দিলেও সাড়া না পাওয়ায় কাউন্সিল করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ি কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে অতিথি আসার বিষয়ে কথা বলতে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় যাওয়ার কথা রয়েছে।