স্টাফ রিপোর্টার: অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেপালকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল শুক্রবার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে নেপালের ২১১ রানের জবাবে ১০ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশের যুবারা। এর আগে বাংলাদেশের যুবাদের শুরুটা ধীরগতির হলেও পিনাক ঘোষ ও জয়রাজ শেখের জুটিতে ভালোভাবেই ঘুরে দাড়িয়েছিলো বাংলাদেশ। তবে ৩৫ রানের মধ্যে তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
২১২ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সপ্তম ওভারে দলীয় ১৭ রানে সাইফ হাসানের উইকেট হারায় টাইগার যুবারা। এরপর ৬৩ রানে পিনাক, ৭৫ রানে শান্ত এবং ৯৮ রানে জয়রাজকে হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে ১১৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান জাকির-মিরাজ জুটি। গতকাল শুক্রবার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে টসে জিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২১১ রান সংগ্রহ করে নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেছেন অধিনায়ক রাজু রিজাল। এছাড়া ওপেনার সুনীল ধামালা ২৫, দিপেন্দ্র সিং আইরি ২২, আরিফ শেখ ২১ ও কুশল ভুর্তেল ১৪ রান করেছেন। ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন প্রেম তামাং। বাংলাদেশের পক্ষে দুটি উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। এছাড়া সালেহ আহমেদ শাওন ও মেহেদী হাসান রানা ও মেহেদী হাসান মিরাজ একটি করে উইকেট পেয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নেপালের অধিনায়ক রাজু রিজাল। তবে অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি সঠিক প্রমাণ করতে পারেননি নেপালের দু ওপেনার। দলীয় ১৭ রানের সময় আউট হন ওপেনার সন্দীপ সুনার (০৭); ওয়ানডাউনে নামা যুগেন্দ্র সিং কার্কি (০১) সাজঘরে ফিরেন ১৯ রানের মাথায়। তৃতীয় উইকেটে মাঠে নেমে অধিনায়ক রাজু রিজাল (৭২) অপর ওপেনার সুনীল ধামালাকে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েন।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে আরিফ শেখকে নিয়ে ৫১ রানের আরেকটি জুটি গড়ে তোলেন নেপালি অধিনায়ক। দলীয় ১১৪ রানে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে জয়রাজ শেখের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আরিফ শেখ। পঞ্চম উইকেট জুটিতে রাজবীর সিংয়ের সঙ্গে ৩২ রানের জুটির পর রানআউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন রাজু রিজাল। ৩৩ ওভার ৫ বলে নেপালের দলীয় রনান তখন ১৪৬; অধিনায়কের বিদায়ের পর দ্রুতই বিদায় নেন রাজবীর সিং (০৯)।
এরপর ১৭৮ রানের মাথায় পিনাক ঘোষ ও মেহেদী হাসান মিরাজের তৎপরতায় রানআউট হন কুশল ভুর্তেল (১৪)। দলীয় ২০২ রানের সময় মিরাজের বলে বোল্ড হন দিপেন্দ্র সিং আইরি। ২১১ রানের সময় রানআউটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন সুশীল কান্দেল। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ২১১ রানে থেমে যায় নেপালি যুবাদের ইনিংস। যুব বিশ্বকাপের ইতিহাসে এরআগে তিনবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ; তিনবারই হেরে বিদায় নিতে হয়েছে টাইগার যুবাদের। এই নেপালের সঙ্গেই ২০০২ বিশ্বকাপের আসরে প্লেট সেমিফাইনালে ২৩ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় যুব বিশ্বকাপের আসরে বর্তমানে জাতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে পঞ্চম হয়েছিল বাংলাদেশ।