ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: হরিণাকুণ্ডু এলাকার ত্রাস পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা আনুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল উপজেলার ঘোড়াগাছার উড়িবিলের মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালমর্গে পাঠায় পুলিশ। আনুর মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে। নিহত আনুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হত্যা, ডাকাতি, নাশকতাসহ হরিণাকুণ্ডু থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
গ্রামবাসী ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের ভালকি গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার মৃত জবেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেন নিষিদ্ধ চরমপন্থি দল পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টিতে নাম লেখায়। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সে তার অপরাধ কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে অপরাধ জগতকে তার দখলে নেয়। এক পর্যায়ে সে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা বনে যায়। শুরু করে চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড। অপরাধ কর্মকাণ্ডের জন্য তার নামে চাঁদাবাজি, হত্যাসহ মামলার সংখ্যা বাড়তে থাকে।
পরিবারের লোকজন জানায়, আনোয়ার হোসেন গত পরশু বুধবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলো। নিখোঁজের একদিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার কেসমত ঘোড়াগাছা গ্রামের উড়িরবিলে গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে কৃষকরা। লাশের বিষয়টি জানাজানি হলে পরিবারের লোকজন দেখতে পায় লাশটি আনুর। পরিবারের নিকটজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিহতের ১ ছেলে ১ মেয়ে রয়েছে। মেয়ে শাওন ঝিনাইদহ কে.সি কলেজের অনার্সের অর্থনীতি বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী। আর ছেলে কৌশিক ভালতি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহাতাব উদ্দিন বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার কৃষকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালমর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, নিহত আনুর বিরুদ্ধে হরিণনাকুণ্ডু থানায় হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। চরমপন্ত্রী আনু পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। সে বেশ কিছুদিন যাবৎ পলাতক জীবনযাপন করছিলো। ৯ বছর পূর্বে আনুর অপর ভাই হাকিমকেও একই ভাবে চরমপন্থি গোষ্ঠী হত্যা করে।