কালীগঞ্জ পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বিজু জেলহাজতে

কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: কেন্দ্রীয় যুব লীগের সদস্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বিজুকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে অস্ত্র আইন ও একটি মারামারি মামলায় কালীগঞ্জের আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে মেয়র মোস্তাফিজুরর রহমান বিজু ও তার চাচাতো ভাই আব্দুস সামাদ মিল্টনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ পৌরসভার শ্রীরামপুর থেকে বাকুলিয়া রাস্তাটির কাজে অনিয়ম দেখে বাধা দেয় স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বিজু ক্ষুব্ধ হন। দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মেয়রের সাথে আলোচনা করতে এলে মেয়র উত্তেজিত হয়ে তাদের ওপর ৪ রাউন্ড পিস্তলের ও ২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি বর্ষণ করেন। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সুমন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্বক আহত হয়। তাকে প্রথমে কালীগঞ্জ ও পরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুমনকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গত ২ ডিসেম্বর রাতে মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বিজু ও তার চাচাতো ভাই আব্দুস সামাদ মিল্টনসহ ২ জনকে আসামি করে ১৯৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ এ/২০-এ/২১ ধারায় কালীগঞ্জ থানার এসআই নীরব হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। একই দিন ছাত্রলীগ নেতা মনির হোসেন সুমনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা ও মারামারির ঘটনায় ১৫ জনকে আসামি করে অপর একটি মামলা হয় কালীগঞ্জ থানায়। ওই মামলায় হাজিরা দিতে ঝিনাইদহ আদালতে গেলে বুধবার দুপুরে আদালতের বিচারক এসএম মনিরুজ্জামান তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। ঘটনার দিন আড়পাড়া এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।