স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার ফার্মপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক বৃদ্ধ আবু বক্করকে জবাই করে খুন করা হয়েছে। গতরাত ২টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে রাত ৩টার দিকে মারা যান। পরিবারে সদস্যরা বলছেন তিনি নিজেই গলায় বটি দিতে কোপ মেরে আত্মহত্যা করেছেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার মৃত সামছদ্দিন মণ্ডলের ছেলে গাইঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর (৮০) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় গোংড়ানির শব্দ পেয়ে তার মেয়ে আয়েশা বেগম পাশের বাড়ি থেকে ছুটে এসে পিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পেয়ে রাত ২টার দিকে একটি ভ্যানযোগে মুমূর্ষু অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেন। তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে পোচ দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কে বা কারা তাকে গলা কেটে খুন করেছে তা তাক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।
আবু বক্করের লাশের পাশে থাকা তার মেয়ে আয়েশা বেগম জানান, পাশে বাড়ি থেকে গোংড়ানির শব্দ পেয়ে ছুটে এসে দেখি বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। নিহত আবু বক্করের স্ত্রী হালিমা খাতুনকে পাশে পাওয়া যায়নি। মেয়ে আয়েশা বেগম আরও জানান, পিতার পাশে তার মা ঘুমিয়ে থাকলেও তিনি টের পাননি। আমি পাশের বাড়ি থেকে ঠিক পেয়ে ছুটে আসি। তবে তিনি বলেছেন তার পিতা নিজেই গলা বটি দিয়ে কেটেছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র সার্জারি কনসালটেন্ট ওয়ালিউর রহমান নয়ন জানান, ক্ষতের চিহ্ন দেখে মনে হচ্ছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে। তবে নিজে নিজে কাটলে এক দিকে কাটা থাকতো কিন্তু নিহত ব্যক্তির গলায় কাটা গলার ওপর সোজাসুজি যা নিজে কাটা সম্ভব নয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। সকাল হলে ময়নাতদন্তের পর অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিহত আবু বক্কর ২০০০ সালে গাইদঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি পেশায় হোমিও চিকিৎসক ছিলেন বলেও পরিবারের সদস্যরা জানান। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।