স্টাফ রিপোর্টার: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে নির্বাচনী ট্র্যাইব্যুনাল। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে ভোট গণনায় ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সিইসিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
গতকাল রোববার নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনী ট্র্যাইব্যুনাল (যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত) আদালতের বিচারক উৎপল চৌধুরী মামলাটি গ্রহণ করে বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। ওই নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলম মাত্র ১ ভোটে পরাজিত হয়েছেন।
মামলার অন্যান্য বিবাদীরা হলেন- ২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হওয়া নাঈম আহম্মেদ, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মাইনউদ্দীন মেম্বার, শামীম মীর, আহসান জামিল ভূইয়া, কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ইয়াছিনুল হক, সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাচন অফিসার, নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার, রিটার্নিং অফিসার সোনারগাঁ পৌরসভা নির্বাচন ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক।
বাদী পক্ষের আইনজীবী হাসান ফেরদৌস জুয়েল জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর সোনারগাঁ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে তিনি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। ওই নির্বাচনে নাঈম আহম্মেদ, মাইন উদ্দীন মেম্বার, শামীম মীর ও আহসান জামিল ভুইয়া কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ ওয়ার্ডের কেন্দ্র ছিলো গোয়ালদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মোট ভোটার ছিলো ২ হাজার ৫৮১ জন। মোট ভোট কাস্ট হয় ২ হাজার ১৪২। নির্বাচনের দিন জাহাঙ্গীর আলমের এজেন্টের কাছ থেকে অলিখিত রেজাল্ট শীট ও অন্যান্য অলিখিত কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়। পরে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগেই তার এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। প্রার্থীরা প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে যোগসাজশে অনিয়ম ও কারচুপি করে। এ বিষয়ে পুণরায় ভোট গণনার আবেদন করা হলেও গ্রহণ করা হয়নি। নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমের পাঞ্জাবী প্রতীকে ৫৩৮ ভোট ও নাঈম আহম্মেদকে টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ৫৩৯ ভোট দেখিয়ে বেআইনীভাবে নির্বাচিত দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সোনারগাঁ পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করা নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারিফুজ্জামান জানান, আমরা তো আর গণনার সময় ভোটকেন্দ্রে যাই না। তখন ভোটকেন্দ্রে থাকেন প্রিজাইডিং অফিসারসহ অন্যরা। তিনি বলেন, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আমাদের কাছে জানতে চাইলে সিলগালা করা বস্তা আদালতে নেয়া হবে। আদালত তখন বস্তা খুলে গণনা শেষে সিদ্ধান্ত দেবে বলে জানান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।