পূর্ব প্রস্তুতি থাকলে জানমাল ও সম্পদের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়

চুয়াডাঙ্গা প্রদীপন বিদ্যাপীঠে ভুমিক্ম্প প্রশমন মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় হঠাত ফায়ার ব্রিগ্রেডের বিপদ সংকেত ও সাইরেনের শব্দে বিদ্যালয় চত্বর প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। যে সকল অভিভাবক বা পথচারী হঠাত করে বিদ্যালয় এলাকায় এসেছিলেন তারা ভেবেই নিয়েছিলেন নিশ্চয় বিদ্যালয়ে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি ছিলো পূর্ব প্রস্তুতিমূলক ভূমিকম্প প্রশমন মহড়া।
বেশ কয়েকদিন থেকেই ফায়ার বিগ্রেডের কর্মীরা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছিলেন। তারই চূড়ান্ত রূপ গতকাল প্রদর্শন করা হয়। কাল্পনিক ভূমিকম্পনের সাইরেন বাজানোর সাথে সথে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয়তলা ও নিচতলার শিক্ষার্থীরা স্কুলব্যাগ মাথায় নিয়ে হুড়োহুড়ি করে নিচে নেমে আসতে থাকে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা কাল্পনিক ভূমিকম্পন মহড়ার অংশ হিসেবে হতাহতদের দ্রুত উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নামিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে পাঠান। এ মহড়ার মাধ্যমে ভূ-কম্পনের সময় শিক্ষার্থীরা কিভাবে নিরাপদ আশ্রয়ে যাবে, কিভাবে অন্যের সাহায্য নেবে, কোথায় অবস্থান করবে সেটি অভিনয়ের মাধ্যমে দেখানো হয়। বিদ্যালয়ের অনেক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী এটি মনযোগ সহকারে অবলোকন করেন।
মহড়া অনুষ্ঠানের আগেই এসে উপস্থিত হন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি সায়মা ইউনুস। মহড়া শেষে জেলা প্রশাসক প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পাওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি যদি থাকে তাহলে জানমাল ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এটি সম্পর্কে আমাদের সকলের ধারণা থাকতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনডিসি মুনিবুর রহমান, বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ একেএম মাহাবুবুর রহমান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চুয়াডাঙ্গা স্টেশন অফিসার রফিকুল ইসলাম রফিক, ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর আব্দুস সালামসহ অভিভাবকবৃন্দ।