মেয়েকে খুঁটিতে বেঁধে রেখে ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা
স্টাফ রিপোর্টার: দিনাজপুরে মেয়েকে (৬-৭মাস) খুঁটিতে বেঁধে রেখে মা পারুল আকতার (২৫) ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাঞ্চন রেলস্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারুল বোচাগঞ্জ উপজেলার কলেজপাড়া এলাকার গরুব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। দিনাজপুর জিআরপি থানার এসআই জিয়াউল হক জানান, কাঞ্চন রেলস্টেশনের কাছে পারুল তার ৬-৭ মাসের মেয়েকে একটি খুঁটিতে বেঁধে রেখে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। লাশটি দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালমর্গে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।
বাংলাদেশ থেকে মেসেঞ্জারে ভয়েস ও ভিডিও কল
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের গ্রাহকেরা ফেসবুকের মেসেঞ্জার ব্যবহার করে ভয়েস ও ভিডিও কল করতে পারছেন। গত ২৮ জানুয়ারি থেকে ফেসবুক বাংলাদেশসহ আরও কিছু দেশের গ্রাহকদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের পেজে এই সুবিধা উন্মুক্ত করার কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশের কয়েকজন গ্রাহক জানিয়েছেন, তারা এই সুবিধা ব্যবহার করে দেশে-বিদেশে তাদের বন্ধুদের সাথে কথা বলতে পারছেন।
ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করে কথা বলার জন্য ইন্টারনেট বিল ছাড়া গ্রাহকের অন্য কোনো খরচ হবে না। বিশ্বের অনেক দেশে এই সুবিধা আগে থেকেই চালু ছিলো।
একদিনে তিন ভাইয়ের যৌতুকবিহীন বিয়ে
স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় এক পিতা একদিনে তার ৩ শিক্ষিত ছেলের যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের দক্ষিণ বটেশ্বর গ্রামে। বিয়ের আয়োজন দেখতে সকাল থেকেই আশপাশের গ্রাম হতে দল বেঁধে মানুষ ছুটে আসে বিয়ে বাড়িতে। নাজির মৃধার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন তার ছেলেদের বিয়ের আয়োজনটা স্মরণীয় করে রাখবেন। সে অনুযায়ী ৩ ছেলের যৌতুকবিহীন বিয়ে ঠিক করেন একইদিনে। অনার্স পাস চাকরিজীবী বড়ছেলে কাউছার মৃধাকে (২৮) একই উপজেলার বারৈচা গ্রামের আব্দুল হাই-এর অনার্স পাস মেয়ে সিমু আক্তারের সাথে, দ্বিতীয় ছেলে বিএ পাস কবির মৃধার (২৬) বিয়ে একই উপজেলার উজিলাব গ্রামের চাঁন বাদশার অনার্স পড়ুয়া মেয়ে ফাতেমা আক্তারের সাথে, বিএ পড়ুয়া ছোট ছেলে মো. করিম মৃধার (২৩) বিয়ে নরসিংদীর আব্দুল মোতালিবের অনার্স পড়ুয়া কন্যা হূদয়া আক্তার রিপার সাথে আয়োজন করেন।
যন্ত্রণা সইতে পারছেনা শিকড়মানবটি
স্টাফ রিপোর্টার: গাছের শিকড় নয়। হ্যাঁ প্রথম দর্শনেই হয়ত মনে হবে তাই। দেখেই মনে হতে পারে দু হাতে সে কিছু গাছের শিকড় ধরে আছে। কিন্তু না, অজ্ঞাত এক রোগে তার হাতের আঙুলগুলো এখন গাছের শিকড়ে পরিণত হয়েছে। এই অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত যুবকের নাম আবুল বাজনদার। তার এই অবস্থা একদিনে হয়নি। ২০০৫ সালে তার এই রোগ প্রথম দেখা যায়। তখন তার বয়স ১৫ বছর। ওই বছর খুলনায় বৃষ্টিতে চারদিকে ডুবে যায়। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় চারদিকে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সেই থৈ থৈ পানির মধ্যে ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতো আবুল বাজনদার। এক সময় তার হাতে-পায়ে আঁচিলের মতো দেখা দেয়। সেই আচিল ১০ বছরে ধীরে ধীরে আজ শিকড়ের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খুলনার পাইকগাছার আবুল বাজনদারের ছবি ছড়িয়ে পড়লে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিট প্রধান অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। বর্তমানে আবুল তার অধীনে চিকিৎসাধীন। খুলনা জেলার পাইকগাছা পৌর সদরের ৫নং ওয়ার্ড সরল গ্রামের বাসস্ট্যান্ডের পাশে ছোট্ট কুঁড়েঘরে মানিক বাজনদার তার স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে বসবাস করেন। তারা তিনজনই অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত।