‘একজন পুরুষকে অন্তত দুটো বিয়ে করতেই হবে। যদি না করে তাহলে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আইনটি জারি করেছে এরিট্রিয়া সরকার ।’ এই ধরনের একটি সংবাদ অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে । বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এরিট্রিয়া সরকার জানিয়েছে খবরটি সম্পূর্ণ গুজব। জানা যায়, খবরটি প্রথম প্রকাশিত হয় কেনিয়া ভিত্তিক একটি ওয়েবসাইট ‘ক্রেজি মনডে’ তে। এই ওয়েবসাইটটি ‘স্ক্যান্ডাল’ এবং ‘গসিপ’ সংক্রান্ত খবর প্রকাশের জন্যই বিখ্যাত। ‘ক্রেজি মনডে’ এর সূত্র ধরে একের পর ওয়েবসাইটে ছড়িয়ে পরে এই খবর। আর তাতেই বিরক্ত হয়েছেন এরিট্রিয়া সরকার। নাইজেরিয়া থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা, টুইটারে বহু পুরুষের সরাসরি ঘোষণা ‘যেতে চাই এরিট্রিয়া, চাই সে দেশের নাগরিকত্ব, ভিসাটা তাড়াতাড়ি পেলেই চলবে।’ ছড়িয়ে পড়ছিল সে দেশে ভিসা আবেদনের একের পর এক লিঙ্ক। এ বার সেই সব পুরুষের স্বপ্নে সরাসরি বাধা হয়ে দাঁড়ালো এরিট্রিয়া সরকার। স্পষ্ট জানিয়ে দিলো, ‘সে দেশে বাধ্যতামূলক একজন পুরুষের দুটো বিয়ে সরকারি স্বীকৃতির খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা, এটি নিছক গুজব মাত্র। এই বিষয়ে এরিট্রিয়ার তথ্য মন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, ‘যে ভাবে কিছু মিডিয়া এই চরম মিথ্যা ছড়িয়েছে তা রীতিমত আতঙ্কের। মনে হচ্ছে কোনও অশুভ শক্তি এ সব ছড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এরিট্রিয়ার বদনাম করতে চাইছে।’
আফ্রিকার ছোট্ট দেশ এরিট্রিয়ার জনসংখ্যা ৬৪ লাখের কিছু কম। এর এক দিকে সুদান আর ইথিওপিয়া, এক দিকে জিবুটি, এক দিকে লোহিত সাগর। ইথিওপিয়ার থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন এরিট্রিয়ার জন্ম হয় ১৯৯৩ সালে। এর পর ১৯৯৮ থেকে ২০০০ পর্যন্ত দুইবছর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলে ইথিওপিয়ার সঙ্গে। যুদ্ধে মারা পড়েছিলেন বহু পুরুষ। সেই কারনেই এই দেশে নারীর অনুপাতে বেশ কমে যায় পুরুষের সংখ্যা।