বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আড়িয়া গ্রামে যৌতুক মামলার বাদী লাবনী খাতুনকে স্বামী পক্ষের লোকজন অপহরণ করেছে বলে থানায় অভিযোগ করেছে বাদীর পিতা গোলাম রসুল। এদিকে কন্যার সন্ধান না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন পরিবারের লোকজন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বছর দুয়েক আগে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের আড়িয়া গ্রামের গোলাম রসুলের মেয়ে লাবনী খাতুনের সাথে বিয়ে হয় একই উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে ইমন মিয়ার। কিছুদিন যেতে না যেতেই ইমন মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী লাবনীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে লাবনীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় লাবনী বাদী হয়ে স্বামী ইমন মিয়ার বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার বিজ্ঞ আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করে। মামলা তুলে নিতে আসামি ইমন মিয়া বিভিন্ন সময় লাবনীর পরিবারকে হুমকি দিতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে লাবনীকে আড়িয়া মোড় থেকে ইমন ও তার লোকজন মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় লাবনীর পিতা বাদী হয়ে গতকালই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ইমনকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত ৩-৪ জনের নামে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম অপহরণ অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।