যুবসমাজকে ডিজিটালের আলোয় আলোকিত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় তিনদিন ব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় টাউন ফুটবল মাঠে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস ফিতাকেটে ও বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন। মেলা উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এক বর্ণাঢ্য ৱ্যালি বের করা হয়। ৱ্যালিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। পরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন, জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. শামসুজ্জোহা, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক নির্মল কুমার দে ও চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ। সহকারী কমিশনার সৈয়দা নাফিজ সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হযরত, এনডিসি মুনিবুর রহমান, সহকারী কমিশনার ফারজানা খানম, জেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার রুহুল আমিন, জেলা তথ্য অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল কবির প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুর রাজ্জাক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, যুবসমাজের সাহস, উদ্যম, প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতায় বাংলাদেশ ডিজিটালে বাস্তবায়ন হচ্ছে। দেখার মাধ্যমে শিক্ষার ভূমিকা অনেক। ডিজিটালের আলোয় আলোকিত হবে ভবিষ্যত ছাত্রছাত্রীরা। গড়ে উঠবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের সোনার ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় ছাত্রছাত্রীরা ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে জানবে। দর্শনার্থীরা দেখতে পারবেন ডিজিটাল ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোট প্রদান পদ্ধতি, ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান পদ্ধতি, ভিডিও কনফারেন্সিং, টেলিনফারেন্সিং, স্মার্ট ট্রাফিক কণ্ট্রোল সিস্টেম, ইণ্টারনেট, ব্রাউজিং ইএমও ইত্যাদি কার্যক্রমসমূহ। মেলায় হাজার হাজার দর্শনার্থী ও ছাত্রছাত্রী বিনামূল্যে ই-মেইল ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা পাবেন। তাছাড়া জেলা প্রশাসনের ই-সেবা কার্যক্রমসহ ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারবে।
এবারের উদ্ভাবনী মেলায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৪৫টি স্টল রয়েছে এবং আগামী ২৮ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মেলার কার্যক্রম চলবে। জেলা প্রশাসক মেলার প্রতিটি স্টল পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জেলা শিল্পকলার শিল্পীবৃন্দ।