আঘাতজনিত সমস্যা কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরেই দারুণ এক গোলে বার্সেলোনাকে লা লিগার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে তুলেছেন লিওনেল মেসি। মালাগার মাঠ থেকে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে লুইস এনরিকের দল।শনিবার ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। লুইস সুয়ারেস ডান দিক থেকে দারুণ ক্রস বাড়ান ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা মুনির এল হাদ্দাদিকে। মাত্র ৩০ ইঞ্চি দূর থেকে জালে জড়াতে কোনো সমস্যাই হয়নি চোটে পড়া নেইমারের বদলে খেলতে নামা এই তরুণ ফরোয়ার্ডের। লিগে এ মৌসুমে মুনিরের এটাই প্রথম গোল।অসাধারণ এই শুরুর পরও মালাগাকে চেপে ধরতে পারেনি বার্সেলোনা। উল্টো তাদের রক্ষণভাগের ভুলে বেশ কয়েকটি আক্রমণ গড়ার সুযোগ পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। চতুর্দশ মিনিটেই সমতা ফেরাতে পারতো স্বাগতিকরা। ক্যাস্ত্রোর দূরপাল্লার শটে কোনোমতে হাত লাগান ব্রাভো। বল দিক পাল্টে পোস্টে লাগলে বেঁচে যায় বার্সেলোনা। ২৫তম মিনিটে ডিফেন্ডারদের ভুলে গোল খেতে বসেছিল বার্সেলোনা। তবে ডি-বক্সে ডাইভ দিয়ে উল্টো হলুদ কার্ড দেখেন মালাগার ফরোয়ার্ড চার্লেস।
ডিফেন্ডারদের ভুলে ৩২তম মিনিটে ঠিকই গোল হজম করতে হয় বার্সেলোনার। ভুল পাস দিয়েছিলেন হাভিয়ের মাসচেরানো। বল পেয়ে চার্লেস পাঠান ডি-বক্সে থাকা হুয়ানপির কাছে। ১৫ গজ দূর থেকে নেওয়া এই মিডফিল্ডারের শট মাসচেরানোর গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে ঢোকে। বিরতির ঠিক আগে গোলের দারুণ একটা সুযোগ নষ্ট হয় বার্সেলোনার। আক্রমণের সূচনাটা হয় মেসির পায়ে। বাঁয়ে মুনিরকে ভালো একটা পাস দিয়েছিলেন তিনি। মুনিরের শট গোলরক্ষক কার্লোস কামেনি দারুণ দক্ষতায় ঠেকালে বল চলে যায় মেসির পায়ে। আর্জেন্টিনা অধিনায়কের কেবল একটি টোকার দরকার ছিল। কিন্তু তার শট দারুণ দক্ষতায় শুয়ে পড়ে ঠেকান লেফট ব্যাক মিগেল তরেস। তবে প্রথমার্ধে অনুজ্জ্বল মেসি জ্বলে ওঠেনন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই। ৫১তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে আদ্রিয়ানোর ক্রসে লাফিয়ে উঠে দর্শনীয় ভলিতে দূরের পোস্টে গোল করে বার্সেলোনাকে আবার এগিয়ে দেন তিনি।
৬২তম মিনিটে মেসির দারুণভাবে বাড়ানো বলে ডি-বক্সের ভেতর সুয়ারেস পা লাগাতে পারলে ব্যবধান আরও বাড়তো।
৭৩তম মিনিটে ক্লাওদিও ব্রাভোর নৈপুণ্যে আবারও রক্ষা পায় বার্সেলোনার। কামাচোর শট দারুণ দক্ষতায় ফেরান চিলির এই গোলরক্ষক।
ম্যাচের শেষের দিকে মেসিকে গোলবঞ্চিত করেন গোলরক্ষক কামেনি। ডি-বক্সের ভেতর থেকে মেসির বাঁ পায়ের জোড়ালো শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন তিনি।
কষ্টের এই জয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠল বার্সেলোনা। ২০ ম্যাচে লুইস এনরিকের দলের পয়েন্ট ৪৮। এক পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আতলেতিকো।