সিঙ্গাপুর ফেরত চুয়াডাঙ্গার আবদুল আলীসহ ১৪ জনকে ফের রিমান্ডে নেবে ডিবি

স্টাফ রিপোর্টার: সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত পাঠানো চুয়াডাঙ্গা ডোমচরার আবদুল আলীসহ ১৪ জনকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এবার তাদের রিমান্ডে নিয়ে টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিআই) সেলে জিজ্ঞাসাবাদ হতে পারে। সূত্র এরকমই তথ্য দিয়ে বলেছে, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) নজরদারিতে থাকা ১২ জনের ব্যাপারে তেমন নেতিবাচক কিছু পাওয়া যায়নি। এসবি সূত্র জানায়, ওই ১২ জনকে তাদের পরিবারের জিম্মায় দেয়া হলেও তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া অব্যাহত আছে।
সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র ও আইন বিষয়ক মন্ত্রী কে শানমুগাম সে দেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, আইন মেনে চলা কর্মীদের সুরক্ষা দেয়া হবে। জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ২৭ বাংলাদেশি কর্মীকে আটক ও তাদের ২৬ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর দেশটিতে অবস্থানরত কর্মীদের মধ্যে একধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছিলো। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে তারা অনেকটাই আশ্বস্ত হয়েছেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত পাঠানো ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ১৪ জন গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে রয়েছে। এদের ডিবি পুলিশ দুই দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে আবারও কাশিমপুর জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে গোয়েন্দারা। ডিবির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মাশরুকুর রহমান খালেদ গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ওই ১৪ জনকে আবার জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাদের কাছ থেকে আরও বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করা হবে। তিনি বলেন, যারা নজরদারিতে আছেন প্রয়োজন হলে তাদের ফের আইনের আওতায় আনা হতে পারে। এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, গভীরভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ১৪ জনকে টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন সেলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ডিবি সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুর ফেরত শ্রমিকরা সবাই কাজের উদ্দেশে দেশটিতে ছিলো। এদের অনেকে ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত দেশটিতে অবস্থান করে। ২০১৩ সাল থেকে সিঙ্গাপুরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নজরদারি করছে বলে জানালেও আগে এ ধরনের তথ্য ঢাকার পুলিশকে জানায়নি সিঙ্গাপুরের সরকার।
জানা যায়, সিঙ্গাপুর ফেরত যে ১৪ জনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন ঢাকার সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের আমিনুর, আবদুল আলীম, শাহ আলম, কুমিল্লার গোলাম জিলানী, মাহমুদুল হাসান, নুরুল আমিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জাফর ইকবাল, ঝিনাইদহের আকরাম হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ডোমচরার আবদুল আলী, পাবনার আশরাফ আলী, কুড়িগ্রামের আলম মাহবুব, মুন্সীগঞ্জের মোহাম্মদ জসীম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডলার পারভেজ। তাদের সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা আবারও রিমান্ডে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।