স্টাফ রিপোর্টার: মেঘলা কাটতে না কাটতেই প্রবাহমান শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে তরতর করে নেমেছে তাপমাত্রা। সারাদেশই মাঘের হাড়কাঁপানো শীতে কাঁপছে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়াসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের জনপদ। দুস্থ শীতার্তদের দিন কাটছে অবর্ণনীয় কষ্টে। খেটে খাওয়া মানুষদের রাস্তার পাশে খড় কুটোয় আগুন ধরিয়ে উষ্ণতা নিয়ে বাঁচার লড়াই চলছে।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো রাজশাহী ও সৈয়দপুরে ৮ দশমিক ৪ আর চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি থাকলেও উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ এলাকায় ছিলো ১৮ ডিগ্রি সেসিয়াসের নিচে। আবহওয়া অধিদফতর গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। টাঙ্গাইল, শ্রীমঙ্গল, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া কুমারখালী অঞ্চলসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তা অব্যাহত থাকতে পারে। ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। ৫ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ৫ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঘের প্রথম বৃষ্টির পরই বুধবার রাত থেকে তাপমাত্রা নামছিলো। অতঃপর গত ৩ দিনে কনকনে শীত বইছে সারাদেশে। এতে স্থবিরতা নেমে এসেছে জনজীবনে। বিশেষ করে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে হাড় কাঁপানো শীতের সাথে ঘন কুয়াশা পড়ছে। অনেক এলাকায় দিনের বেলায় গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। ফেরি চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। গত দু দিন দেখা মেলেনি সূর্যের। উত্তরবঙ্গে হিমশীতল বাতাসের ঝাপটার কারণে পারতপক্ষে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া গরিব, দুস্থরা।
অপরদিকে প্রবল তুষারঝড়ের কবলে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলের অঙ্গরাজ্যগুলো। এ পর্যন্ত আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আগামীকাল রোববার পর্যন্ত এ পরিস্থিতি থাকতে পারে। তুষারঝড়ের কারণে প্রায় সাত হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বিপদ মোকাবেলায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে ঘরে মজুত করে রাখছেন বাসিন্দারা। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।