চুরি করে মধু খেতে গিয়ে মেহেরপুর যাদবপুরের লিঙ্কন গ্যাঁড়াকলে

মেহেরপুর অফিস: চুরি করে মধু খেতে গিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েন মেহেরপুরের যাদবপুর গ্রামের এক সন্তানের জনক লিঙ্কন। অবশেষে পার্শ্ববর্তী বাড়িবাঁকা গ্রামের লোকজনের হাতে নাজেহাল হয়ে পরকীয়ার সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধ্য হলেন। এতে একপক্ষের সমস্যার সমাধান হলেও অন্যপক্ষ বেঁকে বসেছে। তাই গতরাতে তাকে উপস্থিত হতে হয় গ্রাম্য সালিসে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের খবিরউদ্দিন কুড়নের ছেলে বুড়িপোতা ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন লাল্টুর ছোট ভাই লিঙ্কন (২৭)। তিনি দেড় বছর আগে একই গ্রামের আজিজুলের মেয়ে লাকিকে বিয়ে করেন। সে ঘরে তাদের রয়েছে এক পুত্রসন্তান। সম্প্রতি লিঙ্কনের প্রতিবেশী সোনার মেয়ে ইতির বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের বাড়িবাঁকা গ্রামের চাকুরিজীবী বকুলের সাথে। এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি লিঙ্কন। তাই প্রেমিকাকে পেতে লিঙ্কন প্রায় রাতে যাতাযাত করতে থাকেন বকুলের বাড়িতে।
বিষয়টি গ্রামের বেরসিক জনতা আঁচ করতে পেয়ে গত ১৩ জানুযারি লিঙ্কনকে আটক করে মারধর করে এবং ৩ লাখ টাকা দেন মোহরে ইতির সাথে লিঙ্কনের বিয়ে দেয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে লিঙ্কনের ভাই বুড়িপোতা ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন লাল্টু উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রথম স্ত্রী লাকি ও তার পিতা আজিজুলের আপত্তিতে গ্রামের মোড়লদের কাছে বিচার দাবি করলে গতরাতে গ্রামে বিচার বসে। বিচারে লিঙ্কনের পিতা খবিরউদ্দিন কুড়ল উপস্থিত হলেও লিঙ্কন থাকেন অনুস্থিত। শেষ সংবাদ পাওয়া পর্যন্ত সালিস না মেনে নেয়ায় সালিসসভা আজিজুল ও তার মেয়ে লাকিকে লিঙ্কনের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেন। এদিকে এ ঘটনার প্রেক্ষিতে যাদবপুর গ্রামের যুবনেতা মহিদুল ইসলাম মহিদ বলেন, এ ধরনের কর্মকান্ডে লিঙ্কনের পিতার প্রায় ২ গন্ডা ও ভাই লাল্টু মেম্বারের দুটি বিয়ে রয়েছে। এতে এলাকার মানুষ আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। সমাজ ও প্রশাসনের কাছে আমরা ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করি।