গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীর পুর্ব মালসাদহ গ্রামের সেই হোসেন ওরফে পিচ্চি হোসেন ওরফে বোমারু হোচেনকে আবারো গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে পুর্বমালসাদহ-হাড়িয়াদহ সড়কের পাশের একটি ইটভাটা থেকে গাংনী থানা পুলিশ তাকে ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করে। হোচেনের নামে হত্যা, বোমাবাজি, চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তার বিষয়ে গাংনী থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এছাড়াও সম্প্রতিক সময়ে ইটভাটায় চাঁদাবাজি, মাদক ও ডাকাতি প্রচেষ্টার ৪টি মামলা যোগ হয়েছে। আটক হোচেন পুর্ব মালসাদহ গ্রামের অহিল উদ্দীনের ছেলে।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম হোসেন জানান, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী হোচেন ওরফে বোমারু হোচেন সর্বশেষ একটি চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর মাস দুয়েক আগে জামিনে ছাড়া পায়। আবারো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা চালায়। আশ্রয় নেয় এক নেতার বাড়িতে। সেখানে পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করলে আত্মগোপন করে হোচেন। তখন থেকেই হোচেনের গতিবিধি ও কর্মকাণ্ড নজরদারি করছিলো পুলিশ। ওসি আরো জানান, হোচেন ও তার সঙ্গীরা বৃহস্পতিবার রাতে ওই ইটভাটার কাছে অবস্থান করছে মর্মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সঙ্গী কয়েকজন পালিয়ে গেলে হোচেনকে ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পিচ্চি হোচেনের বিরুদ্ধে পুর্বের হাফ ডজন মামলার সাথে আরো ৪টি মামলা যোগ হয়েছে। মাস খানেক আগে হোচেন ওরফে পিচ্চি হোচেন বামন্দী ও কষবার দুটি ইটভাটা মালিকের কাছে মোবাইলফোনের মাধ্যমে চাঁদা দাবি করে। ইটভাটা মালিকদের জিডির প্রেক্ষিতে তদন্ত করে পুলিশ। চাঁদা দাবি করা মোবাইল নম্বরটি হোচেন ব্যবহার করছে বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। এ বিষয়ে গাংনী থানায় চাঁদাবাজির দুটি মামলা দায়ের হয়। এছাড়াও তার নামে সাম্প্রতিক সময়ে ডাকাতি প্রচেষ্টার আরো একটি মামলা দায়ের হয়। এদিকে ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতারের কারণে হোচেনের নামে গতকাল শুক্রবার গাংনী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকালই তাকে ৪টি মামলার আসামি করে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে গতকালই তাকে জেলাহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে গাংনী থানার একটি সূত্র। পুর্বের মামলাগুলোতে হোচেন জামিনে রয়েছে।