ঝিনাইদহে পল্লী বিদ্যুত সমিতির ৯৪৭টি গ্রামে বিদ্যুত সংযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুত সমিতি জেলার ৯৪৭টি গ্রামে বিদ্যুত সংযোগ দিতে চার হাজার ২৫২ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করেছে। গ্রাম বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে জেলার ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৪৩ জন গ্রাহককে বিদ্যুত সুবিধা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে জেলায় ১৭৫.৮৮১ কিলোমিটার নতুন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুত সমিতির ২০তম বার্ষিক সদস্য সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুত সমিতি বোর্ডের সভাপতি সৈয়দ নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুল ওয়াহেদ জোয়াদ্দার, পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, আমেরিকার সাবেক রাষ্ট্রদূত আবু জাফর ফিরোজ, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন, যশোরের এসই শৈলেন্দ্র নাথ হালদার, ডিডি মাসুদ রাণা, সাবেক এসই খাজা কামাল, সাবেক জিএম নজমুল ইসলাম, যশোর পল্লী বিদ্যুত সমিতির জিএম আব্দুল মন্নান, যশোর পবিসের সভাপতি ফারুক হোসেন মাগুরার জিএম মফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সমিতির সভাপতি সৈয়দ নাসির উদ্দীন ও সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী যুবরাজ চন্দ্র পাল তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন। ঝিনাইদহ পবিসের একটি সুত্র জানায়, তারা ৪ দশমিক ২৭ টাকা দরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুত কিনে সিষ্টেম লসসহ ৫ দশমিক ৯০ টাকায় বিক্রি করছে। এ কারণে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। সরকার ও লাভজনক পিবিএস ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুত সমিতিকে সহায়তা করে আসছে। প্রতি মাসে ঝিনাইদহ পবিস আনুমানিক দুই কোটি টাকার লোকসান দিচ্ছে। তারপরও এই বিভাগটি নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুত সুবিধা দিতে ৫টি উপ কেন্দ্র নির্মাণসহ মেগা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ঝিনাইদহ সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী যুবরাজ চন্দ্র পাল তার বক্তৃতায় বলেন, খুঁটির অভাবে যাদের বাড়িতে বিদ্যুত পৌঁছায় নি, তাদের বিনামুল্যে খুটি সরবরাহ করে সংযোগ দেয়া হবে। তিনি বলেন যারা ১/২ পোলের অভাবে যারা বিদ্যুত পাচ্ছেন না সে সকল গ্রাহকদের ভোটার আইডি, এক কপি ছবি ও মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত করে ১০০ টাকার আবেদন করতে হবে। তিনি জানান ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুত সমিতিকে দালাল মুক্ত করা হয়েছে। এ জন্য গ্রাহকদের হয়রানী বহুলাংশে কমে গেছে। ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুত সমিতির সভাপতি সৈয়দ নাসির বলেন, আগের নিয়মে একজন গ্রাহককে খুটি কিনতে হলে ২০ হাজারের বেশি টাকা প্রয়োজন হতো। টাকার অভাবে অনেক দরিদ্র গ্রাহক খুটি কিনতে পারেন নি। ফলে তাদের বাড়িতেও জ্বলেনি বিজলী বাতি। তাদের বিনামুল্যে খুটি দিতে পল্লী বিদ্যুত সমিতি এগিয়ে এসেছে।