লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে হুমকির মুখে মিলটি : কোটি টাকা ঋণ আদায় অনিশ্চিত
দর্শনা অফিস: দেশের সবকটি চিনিকলে ২০১৫-১৬ আখ মাড়াই মরসুম শুরু হয়েছে প্রায় একযোগে। কেরুজ চিনিকলে আধুনিকায়নের কাজ চলমান থাকায় খানেকটা দেরিতে মাড়াই কার্যক্রম শুরু করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দালালচক্রের সদস্যরা কেরুজ চিনিকল এলাকার আখ কিনে বিক্রি করছে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের আখ ক্রয় কেন্দ্রগুলোতে।
জানা গেছে, চলতি মরসুমে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে ৪ ডিসেম্বর। চিনি ও খাদ্য করপোরেশনের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিকটন আখ মাড়াই করতে হবে মিলটিতে। আখ মাড়াইয়ের ৪০ দিবস পার হতে না হতেই মিল এলাকায় দেখা দিয়েছে আখ সঙ্কট। লক্ষ্যমাত্রা অর্ধেক পরিমাণে আখ মাড়াই করতে পারেনি মোবারকগঞ্জ চিনিকল। এদিকে মোবারকগঞ্জ চিনিকলে আখ সঙ্কট দেখা দেয়ায় দালালচক্রের মাধ্যমে আখ কিনছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ। কেরুজ চিনিকলের আওতাধীন জীবননগর উপঞ্চলের কৃষকদের আখচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ১শ মেট্রিকটন। উপাঞ্চলের উথলী, দেহাটি, আনছারবাড়িয়া, মনোহরপুর, জীবননগর ও ধোপাখালী আখ ক্রয়কেন্দ্র এলাকার চাষিদের নগদ টাকা, সার, কীটনাশক, বীজসহ চাষাবাদের জন্য কেরুজ চিনিকল কর্তৃপক্ষ ৮৮৬ জন চাষির মধ্যে ৮৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঋণ দিয়েছে। প্রতি মাড়াই মরসুমে আখ বিক্রির টাকা থেকে এ ঋণের টাকা কর্তন করা হয়ে থাকে। বেশ কয়েকদিন ধরে দালালচক্রের প্ররোচনায় ওই এলাকার সহজ সরল কৃষকরা নগদ টাকা পাওয়ার আশায় মোবারকগঞ্জ চিনিকল এলাকার সাবদারপুর, লক্ষিকুণ্ডু, দয়ারামপুর, ফতেপুর, খালিশপুর ও মহেশপুর ক্রয়কেন্দ্রে আখ বিক্রি করছে। এতে লক্ষমাত্রা অর্জনে চরমভাবে হুমকির মুখে পড়তে পারে কেরুজ চিনিকল। সেই সাথে কৃষকদের মধ্যে দেয়া প্রায় কোটি টাকা ঋণ আদায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পরার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়েছে।