স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের সাথে মারভান আতাপাত্তুর সম্পর্কটা বেশ পুরোনো। সেই ১৯৮৯ সালে তার বয়স যখন ১৯, বাংলাদেশে প্রথম পা রেখেছিলেন। এরপর থেকে এদেশে নিয়মিতই আসা-যাওয়া। শ্রীলঙ্কা দলের হয়ে করেছেন বেশ কয়েকটি সফর। বাংলাদেশের বিপক্ষেও খেলেছেন অনেক ম্যাচ। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে কাজ শুরু করা শ্রীলঙ্কার অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান মারভান আতাপাত্তু মুগ্ধ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ফর্মে। বলেছেন, বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা এখন বিশ্বাস করে যেকোনো পরিস্থিতিতেই তারা ম্যাচ জিততে পারে।’ সাবেক লঙ্কান অধিনায়ক ও কোচের মতে, ‘এটাই আগের বাংলাদেশের সাথে এ বাংলাদেশের পার্থক্য।’
গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এসে আতাপাত্তু স্বীকার করলেন বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে হারানো এই মুহূর্তে বেশ কঠিন, বাংলাদেশ এই মুহূর্তে খুবই ভালো একটি দল। যে দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ই ফর্মের তুঙ্গে আছে। তারা একটি দল হিসেবে খেলছে। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং পরামর্শকের খণ্ডকালীন দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু আতাপাত্তু দারুণ উচ্ছ্বসিত ডেভ হোয়াটমোরের মতো কোচের সাথে কাজ করতে পেরে, ‘আমি ডেভকে অনেক বছর ধরে চিনি। কাজটা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। আমি দেখতে চাই আমার উপস্থিতি জিম্বাবুয়ে দলকে ট্যাকটিক্যালি ও টেকনিক্যালি কতটা সাহায্য করতে পারে।’ সংক্ষিপ্ত এ দায়িত্বে জিম্বাবুয়ে দলকে কতোটা সহায়তা করতে পারবেন সেটি নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে আতাপাত্তুর। তারপরও দায়িত্বটা সুষ্ঠুভাবে পালন করাই তার এই মুহূর্তের ভাবনা, আমি জানি একটি দলের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে দশ দিনের দায়িত্ব মোটেও যথেষ্ট নয়। তারপরও আমি চেষ্টা করতে চাই। দায়িত্বটা ঠিকঠাক পালন করতে চাই।
প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়ে দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্সে খুশি করতে পারেনি তাকে। বললেন, দল খুব সহজেই আরও ২০ রান যোগ করতে পারতো। তবে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের শেষ দিকে বাংলাদেশের বোলিঙেরও প্রশংসা করেছেন, আমরা আরও ২০ রান সহজেই করতে পারতাম। কিন্তু বাংলাদেশের দারুণ বোলিং আমাদের তা করতে দেয়নি। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংটাও শেষ দিকে খুব ভালো হয়নি। আমরা অবশ্যই এটি নিয়ে কাজ করবো। পরের ম্যাচে ভুল-ত্রুটিগুলো শুধরে নিতে চাই।
গত বিশ্বকাপেও শ্রীলঙ্কা দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু পরিবারকে সময় দিতেই কাজটা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে খণ্ডকালীন কাজেই সন্তুষ্ট তিনি। জীবনের এ পর্যায়ে এসে পরিবারই যে তার মূল অগ্রাধিকার। একই সাথে জানিয়েছেন, ভালোবাসার খেলা ক্রিকেটও তার জীবনের অন্যতম সেরা আকর্ষণ, গত ২৫ বছর আমি আমার পরিবারকে সময় দিতে পারিনি। পরিবারকে বেশি বেশি সময় দিতেই শ্রীলঙ্কা দলের কোচের চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছি। এই মুহূর্তে পরিবারই আমার অগ্রাধিকার। তবে ক্রিকেট থেকে বেশি সময় দূরে থাকতে পারবো না। খেলাটা আমি ভালোবাসি, ভালো বুঝিও। এই মুহূর্তে আমি খণ্ডকালীন কাজেই খুশি।