স্টাফ রিপোর্টার: যৌতুকের দাবিতে নির্মম নির্যাতরে শিকার হয়েছেন এক সন্তানের জননী গৃহবধূ শ্যামলী খাতুন। স্বামী, শাশুড়ি, ননদ ও দেবর মিলে বাটাম ও রড দিয়ে পিটিয়ে গুরতর জখম করেছে তাকে। ঘটনাটি ঘটেছে গত পরশু বৃহস্পতিবার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামে। আহত গৃহবধূকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরতলি দৌলাতদিয়াড় সরদারপাড়ার মৃত আব্দুর রহিমের মেয়ে শ্যামলী খাতুনের (২৫) বিয়ে হয় জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া বাজারপাড়ার মতিয়ার রহমানের ছেলে আকিবুল ওরফে রাশিদুলের সাথে। বিয়ের সময় ৩০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়া হয় রাশিদুলকে। এরপরও মাঝে মধ্যেই যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হতে হয় শ্যামলীকে। সংসারে সুখের জন্য মাঝে মাঝে মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্বামীকে দিয়েছেন তিনি। তারপরও নির্যাতন থেমে থাকেনি।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্যামলী ও তার মা বিলকিস খাতুন দৈনিক মাথাভাঙ্গা প্রধান কার্যালয়ে এসে অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েক দিন ধরে আবারও রাশিদুল যৌতুকের টাকার জন্য চাপাচাপি করে শ্যামলীকে। শ্যামলী তার মায়ের নিকট থেকে আর টাকা এনে দিতে পারবে না স্বামীকে জানিয়ে দেয়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার শাশুড়ি আনেচা খাতুনের সাথে শ্যামলীর ঝগড়া বাধে। তার সাথে যোগ দেয় ননদ রাশিদা খাতুন ও দেবর সাইদুর রহমান। দুপুরে রাশিদুল বাড়ি ফিরে তার মায়ের কথা মতো মারধর শুরু করে শ্যামলীকে। থেমে থাকেনি শাশুড়ি-ননদ ও দেবর। তারাও রড ও বাটাম দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে শ্যামলীকে। খবর দেয়া হয় চুয়াডাঙ্গার দৌলাতদিয়াড়ে। মা আনেছা খাতুন ছুটে যান আন্দুলবাড়িয়ায়। মেয়েকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি জেলা লোকমোর্চার হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
জীবননগর আন্দুলবাড়িয়ায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূর ওপর অমানুষিক নির্যাতন
