মাথাভাঙ্গা মনিটর: দুবাইয়ের মাস্টার্স ক্রিকেট লিগে (এমসিএল) খেলতে চেয়েছিলেন বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র না মেলায় অবসর নেয়ার ধুম পড়ে গেছে সেখানে। গত কয়েক দিনে মোহাম্মদ ইউসুফ, আবদুল রাজ্জাক, তৌফিক উমর, রানা নাভিদুল হাসান, ইয়াসির হামিদ, মোহাম্মদ খলিলের মতো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়মিত বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার অবসর নেয়ার কথা জানিয়েছেন বোর্ডকে।
ব্যাপারটা একটু বিপাকেই ফেলে দিয়েছে পিসিবিকে। এক বিবৃতিতে পিসিবি জানিয়েছে, বোর্ড কেবল সেই খেলোয়াড়দেরই অনাপত্তিপত্র দেবে, যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর না ফেরার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। মাস্টার্স ক্রিকেট লিগে খেলার জন্য অবসর নেওয়া বেশির ভাগ ক্রিকেটারই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না ফেরার ব্যাপারে চূড়ান্ত কিছু জানায়নি বোর্ডকে। এই ক্রিকেটাররা প্রায় সবাই পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ। মাস্টার্স ক্রিকেট লিগ পিসিবিকে বিপাকে ফেলেছে অন্য দিক দিয়েও। আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে দুবাইয়ের শুরু হতে যাওয়া এই টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা সাংঘর্ষিক হচ্ছে পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) সাথেও। বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকেও ব্যাপারটা পিসিবির জন্য চিন্তার বিষয়। এ কারণে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের এমসিএলে ছাড়ার ব্যাপারে একটু কড়াকড়ি আরোপের কথাই ভাবছে পিসিবি।
এমনিতে মাস্টার্স লিগে সৌরভ গাঙ্গুলি-জ্যাক ক্যালিসদের মতো একগাদা সাবেক তারকা খেলবেন। ফলে টিভি দর্শকের একটা বড় অংশ হাতছাড়া হবে পিএসএলের। পিসিবি এই টুর্নামেন্টকে সৎ ভাইয়ের দৃষ্টিতেই দেখছে। পিএসএলে না খেললেও পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে নানা ভূমিকায় যুক্ত থেকে কাজ করতেই পারেন। আইপিএল কিংবা বিপিএলেও তা-ই হয়ে আসছে। এতে টুর্নামেন্টের আকর্ষণও বাড়ছে।
কিন্তু এমসিএলে খেলতে চাওয়া ক্রিকেটারদের কেউই পিএসএলের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত নন। সাবেক ক্রিকেটারদের বড় অংশ সেই সুযোগটা না পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই মাস্টার্স লিগের ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছে। কিন্তু এখানেও বাদ সাধতে চাইছে পিসিবি। মোহাম্মদ ইউসুফের মতে, ব্যাপারটা জুলুম ছাড়া আর কিছুই নয়। এ খেলোয়াড়দের রুটি-রুজি বাধাগ্রস্ত করার নৈতিক অধিকার পিসিবির আছে কি-না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি, ‘সবাই জানে আমরা অবসর নেয়া ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার আর কোনো সম্ভাবনাই আমাদের নেই। এ সময় আমরা যদি কিছুটা বাড়তি অর্থ আয়ের সুযোগ পাই, তাতে পিসিবি বাধা দেয়ার কে!
ইয়াসির হামিদ জানিয়েছেন, এমসিএলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য আমাকে কেবল অনাপত্তিপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট থেকে আমাকে অবসর নিতে হবে, এমন কোনো কথা এমসিএল কর্তৃপক্ষ আমাকে বলেনি।