স্টাফ রিপোর্টার: কখনো নাম বলেছে মল্লিক, কখনো বলেছে মিজান। অবশ্য চুয়াডাঙ্গা মাঝেরপাড়ার উত্তেজিত জনতা বলেছে, এই সেই নওমিয়া। যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদের হু্ইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার এমপিকে হত্যা প্রচেষ্টা চালিয়ে পালিয়ে যায়। এ অভিযোগ তুলে তাকে ধরে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ তাকে প্রথমে থানায় নিতে আপত্তি জানালেও পরে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। আটককৃতের পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি গত ১ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর কবরী রোডস্থ ক্লাব থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ তথ্য দিয়ে স্থানীয়রা জানান, বাড়ির অদূরে সন্দেহভাজন কয়েকজন অবস্থান করছিলো। সাথে থাকা রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা সন্দেহভাজনদের নিকট গেলে কয়েকজন পালিয়ে যায়। ধরাপড়ে মিশন। সে জিনতলাপাড়ার মেহেরুলের ছেলে। তার নিকট থেকে ধারালো অস্ত্র চাপাতি উদ্ধার করা হয়। সে তার সহযোগীদের মধ্যে মিজানসহ দুজনের নাম করে। তাকে পুলিশে দেয়া হয়। পরদিন মামলা দায়ের করেন মাঝেরপাড়ার আব্দুর রহমান। এ ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় গতকাল বিকেলে চুয়াডাঙ্গা মাঝেরপাড়া থেকে সন্দেহভাজন একজকে আটক করা হয়। সে নিজেকে প্রথমে মিজান বলে পরিচয় দিয়ে জিনতলাপাড়ার বলে জানায়। পরে অবশ্য সে বলে তার নাম মল্লিক, বাড়ি হকপাড়ায়। পিতার নাম তাছের আলী।
সূত্র বলেছে, আটকের পর তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশকে জানানো হয়, হুইপের ওপর হামলাকারীদের একজনকে ধরা হয়েছে। পুলিশ অবশ্য দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিতে গড়িমসি শুরু করে। বলে, হুইপকে হত্যা অপচেষ্টা মামলাটি তদন্তাধীন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরে অবশ্য তাকে থানায় নেয়। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাও দেয়া হয়েছে। পুলিশ বলেছে আটককৃত ব্যক্তি নিজেকে মল্লিক বলে পরিচয় দিচ্ছে। আচরণ অপকৃতস্থ। চিহ্নিত নেশাখোর।