অবৈধযানের অবৈধ চলাচল না হয় বন্ধ করতে মানবিক বিষয়টি এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাদের হাতে মানুষ মরলেও কি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে মানবিক আপত্তি? নাকি বিশেষ সুবিধা গ্রহণের আড়ালেই পড়ে যাচ্ছে আইন প্রয়োগের দায়িত্ববোধ? প্রজ্ঞাপন, বিধি-বিধান তথা নিয়ম অবজ্ঞারই যেন অঘোষিত প্রতিযোগিতায় মেতেছে সমাজ। যার খেসারত সমাজকেই দিতে হচ্ছে।
বৈধ চালকের হাতে দুর্ঘটনা হলেও মামলা হবে, তদন্ত হবে, তদন্তে দোষ পাওয়া গেলে বিচার হবে। বিচারে শাস্তির পরিমাণও স্পষ্ট করা হয়েছে। আর অবৈধযানে, অবৈধ চালক? হত্যাতূল্য মামলা। শাস্তিও তার কাছাকাছি। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন, এসব হয় না কেন? জবাব নানামুখী। যুক্তি ভুরিভুরি। প্রতিকারের তাগিদ সকল মহল থেকে উত্থাপন করা হলেও তা হয়ে পড়ছে গা সওয়া। গড্ডালিকায় গা ভাসানোর প্রবণতা পরিস্থিতিকে যে আরো ভয়ানক করে তুলছে তা বলাই বাহুল্য। তাছাড়া অবৈধযানগুলো যেভাবে শব্দদূষণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তার কিছুই কর্তাদের কান পর্যন্ত পৌঁছুয় না। কেন? কানে ‘উৎকোচ’ নামক তুলো গোজা? নাকি ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পদস্থদের নিদের্শনা? আমজনতার কাছে এটাও পরিষ্কার হওয়া দরকার।
শ্যালোইঞ্জিনচালিত নানা নামের অবৈধযান সড়কগুলোকে মৃত্যুপুরীতে রূপান্তর করেছে। একের পর এক পঙ্গু হচ্ছে, প্রাণ ঝরছে। অথচ মামলা হচ্ছে না। বেপরোয়া গতিতে অবৈধযান চালিয়ে মানুষের প্রাণ কেড়ে সামান্য কিছু উৎকোচে পার পাওয়ার কারণে যাচ্ছেতাই অবস্থা ফুটে উঠছে। প্রতিকারে অবশ্যই দকরার আইন প্রয়োগে আন্তরিকতা। জবাবদিহিতা।