স্টাফ রিপোর্টার: স্বামীর ঘর ছেড়ে কিছুদিন পিতার বাড়ি অবস্থানের পর সাবেক প্রেমিকের বাড়ি স্ত্রীর দাবি নিয়ে উঠতে গিয়ে পিটুনির শিকার হয়েছে অঞ্জনা। সে চুয়াডাঙ্গা গোপিনাথপুরের আতিয়ার রহমানের মেয়ে। সে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দাদিকে সাথে নিয়ে একই গ্রপামের বিপ্লবের বাড়ি উঠতে গেলে পিটুনির শিকার হয়। অঞ্জনা ও তার দাদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অঞ্জনা বলেছে, বিপ্লব বিয়ে করেছে। বিয়ের কাবিনও দিয়েছে। অথচ তার বাড়িতে উঠতে গেলে বিপ্লবের বোনসহ পরিবারের সদস্যরা না বুঝেই আমাকে ও আমার সাথে থাকা দাদিকে মেরে আহত করেছে। অবশ্য এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিপ্লবের বোনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, আমার ভাই বিপ্লবকে ফুঁসলে অপহরণের পর বিয়ের নাটক সাজাচ্ছে।
জানা গেছে, অঞ্জনা ছিলো এমএবারী স্কুলের ছাত্রী। তার সাথে তার গ্রামেরই সাজেদুল ইসলামের ছেলে বিপ্লবের সম্পর্ক গড়ে ওঠ। সহপাঠিদের মধ্য বিষয়টি সে সময় জানাজানিও হয়। এরই এক পর্যায়ে বছর দেড় আগে অঞ্জনাকে বিয়ে দেয়া হয় বালিয়াকান্দির মোহাম্মদ আলীর ছেলে রাসেলের সাথে। কিছুদিনর মাথায় অঞ্জনা স্বামীর সংসার ছেড়ে পিতার বাড়ি ওঠে। গতপরশু অঞ্জনার সাথে তার সাবেক প্রেমিক বিপ্লব বিয়ে করে। বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হয়। অঞ্জনা তার দাদিকে সাথে নিয়ে গতকাল বিপ্লবের বাড়ি গেলে দুজনকেই মেরে আহত করে। দুজনই গতকাল সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি হয়।