জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী : দেশ উন্নয়নের ঐতিহাসিক দিকসন্ধিক্ষণে

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। উন্নয়নে বিশ্বে রোল মডেল। দেশ এখন উন্নয়নের ঐতিহাসিক দিকসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।’ বর্তমান সরকারের দু বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। আধাঘণ্টার এই ভাষণ টেলিভিশন ও বেতারে সরাসরি সম্প্রচার হয়। শেখ হাসিনা বলেন ‘আমি ২০০৮ সালে বলেছিলাম, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করবো। ইতোমধ্যেই আমরা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। ইনশাল্লাহ ২০২১ সালের আগেই আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হব।’
বিএনপি-জামায়াত জোটের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে নিতে চাইলেও তাতে বাধা দিচ্ছে বিএনপি। গণতন্ত্র ও উন্নয়ন বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্ব সহ্য করতে পারে না। মানুষ শান্তিতে থাকবে, হাসিমুখে জীবনযাপন করবে, তা ওদের সহ্য হয় না।
বিএনপি চেয়ারপারসন মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে কটাক্ষ ও বুদ্ধিজীবীদের অপমান করেছেন অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, একটি দলের নেত্রী ও তার নেতারা মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দেয়া ৩০ লাখ শহীদের কটাক্ষ করেছে, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অপমান করেছে। আমি এ ঘৃণ্য বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এদেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। যারা দেশের ইতিহাসকে বিকৃত করবে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কারও কোনো কটাক্ষ সহ্য করা হবে না। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে এগিয়ে যাবে। পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসরদের কোনো স্থান এ দেশে হবে না। জনগণকে বলবো এদের বিরুদ্ধে ঐকমত্য গড়ে তুলুন। আমরা আপনাদের পাশে আছি।
সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি নস্যাতের যে কোনো চেষ্টা আরও কঠোরভাবে দমনের হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন সবাই নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করছেন। কাউকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে দেয়া হবে না। বিপথগামীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর হব।’ কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন ‘সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ যখন উন্নয়নের সোপানে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির দোসররা আবারও অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’