বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করলেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক

মেহেরপুর অফিস: এবার বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করলেন জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা রাতে মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধসহ বর এবং তার বাবা ও চাচা কনে ও তার পিতাকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। এ সময় বাল্যবিয়ে না দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন গ্রামবাসী। গ্রামে কোন বাল্যবিয়ে হবে না। বাল্যবিয়ে হলে তারা নিজেরাই প্রতিরোধ করবেন। তা না হলে সাথে সাথে জেলা প্রশাসনকে খবর দেবে বলে শপথ বাক্য পাঠ করেন। শপথ বাক্য পাঠ করান জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম নিজেই।
জেলা প্রশাসক বলেন, যেখানেই বাল্যবিয়ে সেখানেই প্রতিরোধ। যে কোন মূল্যে এ মাসের মধ্যে এ জেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত বলে ঘোষণা করা হবে। এজন্য জন প্রতিনিধি, এলাকার সুশিল সমাজসহ গ্রামবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এর ব্যতায় হলে মেহেরপুর জেলা প্রশসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি। সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রামে বাবর আলীর কন্যা ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমাকে একই গ্রামের আলেহীমের ছেলে বিপ্লবের সাথে বিয়ে দেয়া হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম নিজেই সেখানে অভিযান চালান। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় বর ও কনের বাবা-মা। ঘটনাস্থল থেকে বরের চাচা সেন্টু ও কনেকে আটক করা হয়। পরে এলাকাবাসী কনের বাবা বাবর আলী ও বরের পিতা আলেহীমকে জেলা প্রশাসকের কাছে হাজির করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খায়রুল হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীনুজ্জামান, এনডিসি মোহাম্মদ নূর-এ-আলম এবং এসআই মেহেদী হাসান।