স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আদালতে  আওয়ামী লীগের ৬২ নেতাকর্মীর নামে হত্যাচেষ্টা ও  চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে পাল্টাপাল্টি মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক মিজানুর রহমান দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ও তিতুদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শুকুর আলী গত রোববার বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে  মামলা দুটি করেন।
মিজানুর রহমান টিপু মামলায়  শুকুর আলীসহ  ২৮ জনকে  এবং শুকুর আলীর মামলায় মিজানুর রহমানসহ ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। দুটি আদালতে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা বিচারক চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. এবিএম মাহমুদুল হক সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগ দুটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণসহ পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
শুকুর আলী অভিযোগ করেছেন,  মিজানুর রহমান তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেয়ায় গত ২ জানুয়ারি রাতে তাকে হত্যাচেষ্টা এবং তিতুদহ ও গ্রীসনগর বাজারে ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার  ছিঁড়ে অন্তত ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি করেছে। অপরদিকে মিজানুর রহমান অভিযোগ করেছেন  গত ১ ডিসেম্বর তিনি বাড়ির সামনে গোলঘরে বসে ছিলেন, ওই সময় শুকুর আলীসহ আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সেখানে যায় এবং তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায়  আগ্নেয়াস্ত্রের বাট ও লোহার রড দিয়ে টেবিল ভাঙচুর করে। মিজানুর রহমান ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে ঘরটি ভস্মীভূত করে। বিষয়টি ৫ ডিসেম্বর পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত  অভিযোগ দেয়ার কারণে নতুন করে আরো  ৯০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি  এবং চাঁদা না পেলে খুন করার হুমকি দেয়। দাবিকৃত চাঁদার মধ্যে ৭ ডিসেম্বর ৪০ হাজার টাকা দেয়া করা হয়। বাকি টাকা দিতে না পারায় তার পর থেকে তিনি গ্রাম ছেড়ে চলে আসে। এরপর আসামিরা ১৮ ডিসেম্বর ৬০ হাজার টাকা মূল্যের  ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার  ক্ষতিগ্রস্ত করে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের ওই দু নেতা আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোটের জন্য মাঠে রয়েছেন। মূলত নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই দুই নেতা ও তাদের কর্মী সমর্থকদের বিরোধ ।