মাথাভাঙ্গা মনিটর: মাত্র ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে নিউজিল্যান্ডের দ্রুততম রেকর্ড করেন মার্টিন গাপটিল, তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে ছাড়িয়ে ১৪ বলে সেঞ্চুরি করেন কলিন মুনরো! আর এর যোগফল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার ১৪২ রানের লক্ষ্য কিউইরা পেরিয়ে যায় পুরো ১০ ওভার হাতে রেখে! কিউই ইনিংসের উদ্বোধন করেন দারুণ ফর্মে থাকা মার্টিন গাপটিল ও কেন উইলিয়ামসন। আর শুরুর এ জুটি ৬.৪ ওভারে এনে দেন ৮৯ রান। অধিনায়ক উইলিয়ামসন ২১ বলে তিন চারে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। এর আগে দলীয় পঞ্চম ওভারে ছক্কা মেরে ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করা গাপটিল নিউজিল্যান্ডের হয়ে রেকর্ড গড়েন। পরে ২৫ বলে ছয় চার ও পাঁচ চারে ৬৩ রান করে থিসারা পেরেরার বলে আউট হন। তার এ রান আসে ছয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কা থেকে। শ্রীলঙ্কান বোলাররা যেন গাপটিলকে আউট করার পরে সেই খুশি বেশিক্ষণ টেকেনি। দ্বিতীয় উইকেটে নামা মুনরো লঙ্কান বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে ভাঙেন কিছুক্ষণ আগে করা গাপটিলের রেকর্ড। দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল দুই রান। এমন সময় মুনরো ছক্কা মেরে ১৪ বলে ফিফটি করার রেকর্ড গড়েন। সাতটি ছক্কা মেরেছেন তিনি, আছে আরো একটি চার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি।
২০০৭ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২ বলে অর্ধশতক করেছিলেন যুবরাজ সিং। ডারবানের সেই ইনিংসে স্টুয়ার্ট ব্রডকে মেরেছিলেন ওভারে ছয়টি ছক্কা। টি-টোয়েন্টিতে তো বটেই, তিন সংস্করণ মিলিয়েই দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড সেটি। এমন বিধ্বংসী ব্যাটিঙের দিনে শ্রীলঙ্কার চার বোলারই এদিন ওভার প্রতি ১১.র বেশি রান দেন। এর আগে অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে টসে জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। একমাত্র অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ছাড়া কেউ দাড়াতে পারেননি। ৪৯ বলে ৮১ রান করেন তিনি। ম্যাথিউস ছাড়া মাত্র একমাত্র ওপেনার দিলশান দু অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন। পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করে ১৪২ রান করে আট উইকেট হারিয়ে। গ্র্যান্ট ইলিয়ট চার উইকেট নেন। এই জয়ে দু ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ তে জিতল কিউইরা।