মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জের এক আওয়ামী লীগ নেতার কাছে অবৈধভাবে বালি তোলার অভিযোগ তুলে ৩ হাজার টাকা চাদাঁ দাবি করেছেন দু সাংবাদিক। আওয়ামী লীগ নেতা এ অভিযোগ তুলে বলেছেন, এই সাংবাদিকদের কথা মোবাইলফোনে রেকর্ড করা হয়েছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জের খুদিয়াখালী বালির গর্ত নামক স্থানে মুন্সিগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন পরিত্যক্ত পুকুর থেকে ড্রেজার নিয়ে বালি তুলে অন্য একটি পুকুর ভরাটের কাজ করেন। ১৫ দিন আগে বালি উত্তোলন শেষ হলে তা বন্ধ হয়ে যায়। গত ১০ দিন আগে সরকারি জমি থেকে বালি তুলছে এমনি অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ ভূমি অফিসের লোকজন সরেজমিনে তদন্তে যান। গত শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত স্থানীয় একটি দৈনিকের আলমডাঙ্গা ব্যুরো ও সহকারী ব্যুরো পরিচয়ে খুদিয়াখালী বালির গর্তে আসে। বালি তোলার আলামত ও বালির কোনো চিহ্ন না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে এসে মুন্সিগঞ্জ পশুহাটের একটি দোকান থেকে ওই আওয়ামী লীগ নেতার পরিচয়ে এক প্যাকেট বেনসন সিগারেট হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়েন তারা। এরই কিছুক্ষণ পরে ওই আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজার কাছে মোবাইলফোনে হুমকি দিয়ে বলে আপনারা সৃজনী মডেল স্কুলের পাশের গর্ত থেকে বালি তুলছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। তাছাড়া সেই বালি মুন্সিগঞ্জ পশুহাটের ব্রিজে বিক্রি করছেন। আমরা নিউজ করবো। নিউজ করার হুমকি দিয়ে ৩ হাজার টাকা চাদাঁ দাবি করেন তারা। টাকা না দিলে নিউজ করা হবে। চাদাঁ চাওয়ার কথোকথন মোবাইলফোনে রেকর্ড করা হয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে সাংবাদিক মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ বলেন, বাবা মাদক বিক্রেতা, ছেলে সাংবাদিক। নানাভাবেই সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করে হুমকিধামকি দিয়ে অনেকের নিকট থেকেই অর্থ আদায় করছে বলে অভিযোগের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।