সিডনির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন ওয়ার্নার

মাথাভাঙ্গা মনিটর: দ্বিতীয় দিনে ৬৮ বলের হিসেবটাকে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। ওই দিনের ৬৮ বলে ৪১ রান আর ১ উইকেট খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি। ওই দিনের হিসেবটাকে ঝেড়ে ফেললে সিডনি টেস্টে তিনদিন ‘খেলেছে’ বৃষ্টি, বাকি দুদিন ক্রিকেটারেরা। আর তাতে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের একটি ইনিংসই শেষ হয়নি। আজ শেষ দিনে এসে যা-ই খেলা হোক না কেন, যত অনিশ্চয়তাই থাকুক ক্রিকেটে, এই টেস্টের অবধারিত ফল ছিলো একটাই ড্র।
তবু সিডনি টেস্ট শেষ দিনে কিছু নির্মল ক্রিকেটীয় বিনোদন দিয়ে গেল, মনে রাখার মতো একটা রেকর্ড দিয়ে গেল। ডেভিড ওয়ার্নারের সৌজন্যে। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) টেস্টে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। এমনিতেই টেস্টটা ছিলো ‘ডেড রাবার’। প্রথম দুই টেস্টেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধসিয়ে দিয়ে সিরিজটা এরই মধ্যে জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচটি আরও ‘ডেড’ হয়ে গেল বৃষ্টিতে। আজ পঞ্চম দিনটাও ভেসেছে বৃষ্টিতে। তবে মেঘমালার বৃষ্টি নয়, ব্যাট দিয়ে চার-ছক্কা বৃষ্টি নামালেন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়া ইনিংসে ব্যাট করেছে ৩৮ ওভার। তাতে ১০৩ বলে ১২২ করেছেন ওয়ার্নার, যাতে ছিল ১১টি চার ও ২ ছয়। সেঞ্চুরি করেছেন মাত্র ৮২ বলে। ভেঙে দিয়েছেন ম্যাথু হেইডেনের ১২ বছর আগের রেকর্ড। সিডনিতে এর আগে দ্রুততম সেঞ্চুরিটি ছিল সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের, ৮৪ বলে।
ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি ছাড়া আজ শেষ দিনে বলার মতো ঘটনা একটি মিচেল মার্শ ও পিটার নেভিলের ব্যাটিংয়ে ৩ ও ৪-এ উঠে আসা। পুরো সিরিজে খুব একটা ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। বেশির ভাগ সময় কেটেছে ড্রেসিং রুমে প্যাড পরে বসে। ওপরের সারির ব্যাটসম্যানদের একের পর এক সেঞ্চুরি জুটি গড়তে দেখে। বেচারাদের আজ তাই একটু ব্যাটিংয়ের সুযোগ করে দিল অস্ট্রেলিয়া। অবশ্য মার্শ সুযোগটা নিতে পারলেন না। আউট হয়ে গেছেন ২১ রানে, নেভিল অপরাজিত ছিলেন ৭ রানে। আর ওপেনিংয়ে ওয়ার্নারের সঙ্গে জো বার্নসের শতরানের জুটি হলো আজও। তবে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ২ উইকেটে ১৭৬ রান তুলতেই খেলা শেষ। এর মধ্যে ১২২ রান করেছেন ওয়ার্নার একাই।
এর আগে ৭ উইকেটে ২৪৮ নিয়ে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ অল আউট হয়ে গেছে ৩৩০ রানে। ফিফটি করেছেন দীনেশ রামদিন।