মোটরসাইকেল চালক নিহত : আহত কমপক্ষে ১০ : বাস ভাঙচুর

দর্শনা অফিস/বেগমপুর প্রতিনিধি: দর্শনা-জীবননগর সড়কের আকন্দবাড়িয়ায় যাত্রীবাহী বাস-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। মোটরসাইকেল চালক রাকিবের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মোটরসাইকেলের ২ আরোহীসহ কমপক্ষে ১০ যাত্রী আহত হয়েছে। আহত ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে। ভাঙচুর করা হয়েছে কেজিএন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে দর্শনা পৌর এলাকার জয়নগরের নুর মোহাম্মদের ছেলে রাকিবুল ইসলাম ওরফে রাকিব (২৫) তার ২ বন্ধু একই গ্রামের দিন মোহাম্মদের ছেলে আসিফ (২৬) ও আব্দুস সামাদের ছেলে সজিবকে (২৫) নিয়ে মোটরসাইকেলে দ্রুতগতিতে শিয়ালমারী পশুহাটে যাচ্ছিলো। তারা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া বটতলা বাজারের যাত্রী ছাউনীর সামনে পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে আসা কেজিএন পরিবহনের যাত্রীবাহী (যশোর-জ-১১-০০৭৭) বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকার তলায় পড়ে রাকিব, আসিফ ও সজিব। এ সময় বাসচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি খেজুরগাছে সজোরে ধাক্কা মারে। এতে বাসের যাত্রীদের মধ্যে দৌলতদিয়াড়ের আবু তাহেরের ছেলে বাসহেলপার আ. বারেক (৩৫), মহেশপুরের শ্যামকুড় অনন্তপুরের আলতাব হোসেনের ছেলে টুটুল (২৬), নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাবরা গ্রামের তাহাজ্জুতের মেয়ে রুনা (৩৪), দামুড়হুদার মদনা গ্রামের মতিন (৪৫), তার স্ত্রী সাজেদা বেগম (৪০), আলমডাঙ্গা বেতবাড়িয়া গ্রামের মহিরুদ্দিনের ছেলে আবুল কালামসহ (৪৫) কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে নেয়া হয় দামুড়হুদার চিৎলা ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। আহতদের মধ্যে মোটরসাইকেল চালক রাকিবকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। রাকিবের সাথে থাকা তার দু বন্ধু আসিফ ও সজিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন ও পথচারীরা যাত্রীবাহী কেজিএন পরিবহনের বাসটি ভাঙচুর করে। বেগমপুর ফাঁড়ি পুলিশের এসআই শফিকুর রহমান ঘটনার সময় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে থাকার কারণে বড়ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আহতদের হাসপাতালে নেয়ার ক্ষেত্রে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সহযোগিতা করে। সন্ধ্যায় রাকিবের লাশ বাড়িতে নেয়া হলে স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে বাতাস।