রাকায় সেই নারী সাংবাদিককে খুন করেছে আইএস

রাকায় সেই নারী সাংবাদিককে খুন করেছে আইএস
মাথাভাঙ্গা মনিটর: সিরিয়ার রাকায় নারী সাংবাদিক রুকিয়া হাসানকে হত্যা করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। কঠোর শরিয়া আইনে পরিচালিত শহরটিতে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন নিয়ে লেখার কারণে জঙ্গিদের রোষানলের শিকার হয়েছেন তিনি। রুকিয়ার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছিলো আইএস। ৩০ বছর বয়সী রুকিয়াকে গত সেপ্টেম্বরেই হত্যা করে আইএস। এতোদিন বিষয়টি অজানা থাকার পর এই সপ্তাহে বিষয়টি জানাজানি হয়। নিসান ইব্রাহিম ছদ্মনামে লিখতেন রুকিয়া। লেখায় আইএসের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শহরটিতে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন ও বিমান হামলার বর্ণনা দিতেন তিনি। তিনি আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ২০১১ সালে দেশে আরব বসন্তের ঢেউ আছড়ে পড়লে তিনি সরকারবিরোধী ফ্রি সিরিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে শহরটি আইএসের দখলে আসলেও সেখানেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই তিনি ফেসবুকে নিজের কথা লিখতেন। তার ফলোয়ারদের সবসময় দিন বদলের আশা দিতেন রুকিয়া। নজরদারির পর গত আগস্টে তাকে ধরে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। তার বিরুদ্ধে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার অভিযোগ আনে আইএস। ফ্রি সিরিয়ান আর্মিকে ষড়যন্ত্রকারী বলে মনে করে আইএস।

হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা করায় উ. কোরিয়ায় ভূমিকম্প
মাথাভাঙ্গা মনিটর: উত্তর কোরিয়ায় হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষাস্থলের কাছে গতকাল বুধবার ৫ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষার সময় নির্গত প্রচণ্ড শক্তির কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে বলে চীনের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় (গ্রিনিচ মান সময় ০১.৩০) ভূমিকম্পটি হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিলো দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে, কিলজু নগরী থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে। সেখানে হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এদিকে হাইড্রোজেন বোমার একটি ক্ষুদ্র সংস্করণের সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া। বিবিসি বলছে, ২০০৬ সাল থেকে উত্তর কোরিয়া ভূগর্ভে ৩ দফা পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। এসব পরীক্ষার সবগুলোই পুংগাই-রি নামের একটি স্থাপনায় চালানো হয়।
ভূকম্পন শনাক্ত হওয়ার পর দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম অল্প সময়ের মধ্যেই ‘বিশেষ, তাৎপর্যপূর্ণ’ ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানিয়েছিলো। উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী দেশ চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও ভূকম্পন শনাক্তের কথা জানিয়ে এটি মানব-সৃষ্ট, এমন ইঙ্গিত পাওয়া কথা জানিয়েছিলো। এতে উত্তর কোরিয়া নতুন একটি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছিলো।

উত্তর কোরিয়ার হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা : জাতিসংঘের বৈঠক
মাথাভাঙ্গা মনিটর: সফলভাবে হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। আর সেই দাবিকে কেন্দ্র করে জরুরি বৈঠকে বসছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। রয়টার্স তার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জাপানের আহ্বানে বুধবার নিউইয়র্কে এ বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। জাতিসংঘ মিশনের মুখপাত্র হ্যাজার চেম্যালি এক বিবৃতিতে বলেন, উত্তর কোরিয়ার হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালানোর দাবির পর যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের অনুরোধে বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। তিনি বলেন, কখন ওই পরীক্ষা চালানো হয়েছে তা আমরা এখনো নিশ্চিত করতে পারছি না। তারপরও আমরা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের চুক্তি লঙ্ঘনের নিন্দা জানাচ্ছি। এছাড়া উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান ও অঙ্গীকার পালনের আহ্বান জানান চেম্যালি। এর আগে ২০০৬, ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে পিয়ং ইয়ং। সর্বশেষ হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালানোর দাবির পর নিরাপত্তা পরিষদ উ. কোরিয়ার বিরুদ্ধে কি ধরণের ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়। তবে কূটনীতিকরা বলছেন, পিয়ং ইয়ংয়ের ওপর বেশি-কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

ওবামা কাঁদলেন
মাথাভাঙ্গা মনিটর: মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্বাহী আদেশে দেশটিতে অস্ত্র ক্রয়ের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে এ ঘোষণা দিতে গিয়ে আবেগতাড়িত ওবামা বলেন, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে নিষ্ক্রিয়তার জন্য অব্যাহতভাবে অজুহাত দেয়া বন্ধ করতে হবে। এ সময় তিনি কলাম্বাইন ও সানতা বারবারায় স্কুলে নির্বিচার গুলিবর্ষণে নিরপরাধ ছাত্র-ছাত্রীদের হত্যার ঘটনাটি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। ওবামা যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন তাকে ঘিরে ছিলেন বিভিন্ন হামলার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা এবং নিহতদের স্বজনরা। নতুন এ আইনে ক্রেতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে এবং তার অতীত ইতিহাস জেনে তারপর অস্ত্র বিক্রি করতে হবে। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই এসব ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে। ওবামা বলেন, আমরা এখানে এসেছি আগের বন্দুক হামলার বিষয়ে কিছু বলতে নয়, বরং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা আর না হয়, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। তিনি বলেন, অবাধ অস্ত্র বেচাকেনার পক্ষে তদবিরকারীরা (গান লবি) হয়তো এখন কংগ্রেসকে জিম্মি করে রেখেছে, তবে তারা আমেরিকাকে জিম্মি করতে পারবে না।

২৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছেন সঞ্জয় দত্ত
মাথাভাঙ্গা মনিটর: সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার ১০৫ দিন আগেই জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন মুন্নাভাই খ্যাত বলিউড স্টার সঞ্জয় দত্ত। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি জেল থেকে মুক্তি পাবেন। সংশোধনাগারে থাকাকালীন তার আচরণ সন্তোষজনক হওয়ায়, তাকে আগাম মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন। মুম্বাইতে ১৯৯৩ সালের বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিলো সঞ্জয় দত্তের বিরুদ্ধে। তবে সেই অভিযোগ প্রমাণিত না হলেও বেআইনিভাবে নিজের কাছে একে-৫৬ রাইফেল এবং পিস্তল রাখার দায়ে ২০০৭ সালে ৬ বছরের জেল হয় সঞ্জয়ের। ১৮ মাস জেল খাটার পর জামিন পান সঞ্জয়। উচ্চতর আদালতে ৬ বছরের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৩ সালের মার্চে আপিল খারিজ করেন আদালত। এতে ফের জেলে ফিরতে হয় মুন্নাভাইকে।